করোনা আবহেই গণেশ বন্দনায় মেতে উঠেছে মায়ানগরী মুম্বই। মহামারীর জেরে গণেশ পুজোর জৌলুসে কমতি থাকলেও ভক্তদের ভক্তিতে কোনওরকম ভাটা পড়েনি। অনান্য বছরের মতো এবছরও ধুমধাম করে খান পরিবারে স্বাগত জানানো হল বিঘ্নহর্তাকে।আর গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে এদিন এক ছাদের নীচে গোটা ‘খানদান’। এই বছর খান পরিবারে গণেশ পুজো একটা কারণে ভীষণ স্পেশ্যাল-এটা আয়তের প্রথম গণেশ চতুর্থী। গণপতির পাশাপাশি এদিন অর্পিতা-আয়ুশ কন্যা ছিল সকলের মধ্যমণি। খুদে আয়াত এদিন সেজেগুজে তৈরি ছিল গুন্নুদাদাকে স্বাগত জানাতে। বাবার সঙ্গে গণেশ পুজোর আরতিও করল সে। অন্যদিকে দাদা আহিলকে আরতি করা হাতে ধরে শেখালেন মামুজান সলমন খান।
এ বছর সোহেল খানের বাংলোয় বিরাজমান হয়েছেন খান পরিবারের গণপতি।গত বছর অর্পিতার বাড়িতে বাপ্পার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। প্রথা মেনেই সলমনের পরিবারের গণেশের গায়ের রঙ লাল। চতুর্দিক ফুল দিয়ে সাজানো আসনে বিরাজমান বিঘ্নহর্তার দুটি মূর্তি। শনিবার সকালে গণপতিকে নিজেদের বাড়িতে স্বাগত জানালেন সলমনের দুই বোন অর্পিতা খান শর্মা ও অলভিরা খান অগ্নিহোত্রী। ছিলেন সোহল খান ও অনান্য সদস্যরাও।

শনিবার সন্ধ্যায় বান্ধবী ইউলিয়া ভান্তুরের সঙ্গে সোহের বাড়িতে হাজির হন সলমন খান। খান পরিবারের গণেশ উত্সবে শামিল হয়েছিলেন ডেজি শাহ, গায়ক কামাল খানেরও। তবে দেখা মেলেনি ক্যাটরিনা কাইফের। সলমনের মা সলমা খান, বাবা সেলিম খান, সত্ মা হেলেন সহ পরিবারের নতুন প্রজন্মের সকলেই উপস্থিত ছিলেন গণেশ পুজোয়। দেখা মিলেছে আরবাজ পুত্র আরহান, সোহেল পুত্র নির্বাণেরও।
সব মিলিয়ে খান পরিবারে করোনা সংকটের মধ্যেও বাপ্পার পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি নেই।