'রং দে বসন্তী'-তে অল্প সময়ের জন্য হলেও নিজের অভিনীত চরিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছিলেন আর মাধবন। বিশেষ করে এই ছবিতে তাঁর আর সোহার জুটি ও রসায়ন দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছিল দর্শক ও ছবি সমালোচকদের মধ্যে। তবে জানেন কি চিত্রনাট্যের খাতিরে ছবির একটি রোম্যান্টিক সিকোয়েন্সে সোহার ঠোঁটে চুমু খাওয়ার আগে ভয় পেয়েছিলেন মাধবন। 'চুমু খাবো কি, সেইসময়ে সোহার দাদা সইফের মুখ আমার চোখে ভেসে উঠছিল। ভাবছিলাম ওঁর বোনের সঙ্গে এই দৃশ্য দেখলে হয়তো আমার মুখে বেমক্কা ঘুঁসি-টুসিই মেরে দিল!', স্বীকারোক্তি খোদ মাধবনের।প্রসঙ্গত,ছবির 'তু বিন বাতায়ে' গানে এই দৃশ্যে ছিল। এমনকি 'রং দে বসন্তী'-র সেটে হাজির হয়ে প্রথম দিনই এই দৃশ্যের শুটিং করেছিলেন মাধবন। ছবির পরিচালক তথা বিখ্যাত বলি-ব্যক্তিত্ব রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার আত্মজীবনী 'দ্য স্ট্রেঞ্জার ইন দ্য মিরর'-এ এই কথা লিখেছিলেন মাধবন। 'চুমুর কিসসা' ছাড়াও রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা এবং 'রং দে বসন্তী'-তে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কোথাও পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। সেই 'চুমু' প্রসঙ্গে মজা করেই মাধবন আরও লিখেছেন 'ওই' সময়ে সইফ ছাড়া আর করোও কথা তাঁর মনে পড়ছিল না। মাধবনের কথায়,' ছবিতে প্রমাণ করতে হাত আমি আদর্শ প্রেমিক। তার ওপর এটি সোহার কেরিয়ারে প্রথম 'অন স্ক্রিন কিস' ছিল। প্রসঙ্গত, সইফের সঙ্গে মাধবন এর আগে নিজের বলিউড ডেবিউ ছবি 'রহেনা হ্যায় তেরি দিল মে'-তে স্ক্রিন শেয়ার করে ফেলেছিলেন। সেই ছবিতে অবশ্য এই দু'জন পরস্পরের চরম শত্রুর ভূমিকাতেই অভিনয় করেছিলেন।