সোমবার এসে গেল ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’র প্রথম প্রোমো। একসঙ্গে এই প্রোজেক্টের ঘোষণা করে স্টার জলসা ও জি বাংলা। অর্থাৎ, সেই প্রথমা কাদম্বিনীর পর, আরও একবার, একই গল্প, একইসঙ্গে চলাবে দুই চ্যানেল।
তারপর থেকেই দুই চ্যানেলের ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল, কে আগে আনবে প্রথম ঝলক। আর সেই রেসে এগিয়ে থাকল স্টার জলসা। রাণী ভবানী হিসেবে জলসায় দেখা মিলবে রাজনন্দিনী পালের, সেই খবর আগেই দিয়েছিলাম আমরা।
সব্যসাচী চক্রবর্তীর গলা শোন গেল ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’র প্রোমোতে। বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সাল ১৭৪৮। বাংলার মাটি যখন নবাবী ও বর্গিদের আক্রমণে রক্তাক্ত, ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদ যখন ঘাঁটি গাড়ছে এই দেশে। তখন স্বয়ং মা ভাবনীর কৃপায় েক গ্রাম্য মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার হৃদয়েশ্বরী।’
‘তিনি সংস্কার করেছিলেন তারাপীঠ মন্দিরের। বারাণসীতে গড়ে তুলেছিলেন দুর্গা মন্দির। তিনি গর্জে উঠেছিলেন নবাবী ও ইংরেজ অত্যাচারের বিরুদ্ধে। তিনি রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী।’, আরও বলতে শোনা গেল প্রোমোতে।
লাল বেনারসি শাড়ি গায়ে, পায়ে আলতা, সিঁথি ভরা সিঁদুর, মাথায় সোনার মুকুট, গা ভরা সোনার গয়না, কপালে লাল টিপ-- অভিনব লুকে দেখা মিলল রাজনন্দিনীর। হাত ভরা শাঁখা-পলা-চুরি। অস্ত্রচালনা করতেও দেখা গেল অভিনেত্রীকে। সব মিলিয়ে একদম অন্যরকম। এটাই রাজনন্দিনীর ছোট পর্দার প্রথম কাজ হতে চলেছে।
দেখা গেল প্রোমো আসতে না আসতেই, রাজনন্দিনী মন কাড়ল দর্শকদের। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘রাজনন্দিনী কে সত্যি রাজরানী লাগছে’। আরেকজন লেখেন, ‘লুক একদম পারফেক্ট। তবে ভিএফএক্স জঘন্য। ওটা না ঠিক করলে, আর গল্প নিয়ে রিসার্চ না করলে হয়তো চালানো মুশকিল হবে।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘অসাধারণ মানিয়েছে’।তবে এখনও সম্প্রচারের সময় বা তারিখ কিছুই ঘোষণা করা হয়নি স্টার জলসার তরফ থেকে।
জি বাংলার রাণী ভবানী কে?
খবর রয়েছে, জি বাংলাতে রাণী ভবানী হিসেবে দেখা যাবে স্বস্তিকা দত্তকে। মোটামুটি নাকি ফাইনাল। লুক টেস্টও কমপ্লিট। তবে অভিনেত্রী বা চ্যানেল, কেউই এই ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।