বাবা বিশ্বের অন্যতম নামি ক্রিকেটার। তবে খেলার ধারকাছ দিয়ে যাননি মেয়ে সানা গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যলয় UCL অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেন। এরপর যুক্তরাজ্যের একাধিক নামীদামী কনলাস্টিং ফার্ম যেমন পিডব্লুসি (PWC), ডেলোয়েটে (Deloitte) ইন্টার্নশিপ করেছেন, এরপর আপতত সেখানেই চাকরিরতা।
কেন নিজে এত ভালো ক্রিকেট খেললেও, মেয়েকে এই পেশায় আনেননি? এর জবাব নিজেই দিয়েছিলেন সৌরভ। একবার গায়িকা অন্তরা মিত্রের সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে দাদাগিরিতে সৌরভকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি তো সানাকে বলি, তুমি ভুল সময়ে জন্মেছ। এখন হলে তোমাকে আমি ক্রিকেট খেলতে পাঠাতাম।’
আসলে একটা সময়, মহিলা ক্রিকেটের এত সুযোগ ছিল না দেশে। ফলে মেয়েকে সেই পথে আনেননি মহারাজা। সৌরভ সেদিন আরও বলেছিলেন যে, ‘সানা যখন ছোট ছিল, তখন যদি এত সুযোগ থাকত মেয়েদের ক্রিকেটে, তাহলে আমি ওকে ক্রিকেটই খেলতে দিতাম। শেষ ৩ বছরে মহিলাদের ক্রিকেট খুব উন্নতি করেছে। ওদের পে স্কেল (Pay Scale) এখন ছেলেদের মতোই। বিরাট কোহলি যা টেস্ট ম্যাচে পয়সা পায়, স্মৃতি মন্দনাও তাই পায়।’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেয়েকে কেন লন্ডনের অফিসে চাকরি করতে দিচ্ছেন, কেন ভারতে আসছেন না সানা, তা নিয়ে কথা বলেন সৌরভ। মহারাজ আনন্দবাজরকে জানান যে, কলকাতায় থাকাকালীন তাঁর মেয়ে রাত ১-২টোয় ঘুমোতে যেত, আর তারপর ঘুম থেকে উঠত বেলা ১টায়। সৌরভ বলেছিলেন, ‘নিয়মানুবর্তিতা শেখাব বলে ওকে লন্ডনে পাঠানো। চাকরি করা মানেই তো ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষ, সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলা। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা। সময়ে ঘুম থেকে ওঠা, ঘুমোতে যাওয়া। ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করা। নিজেকে নিজের দায়িত্বে সামলে চলা।’
আরও পড়ুন: ‘প্রেম রয়েছে, তবে…’! ২য় বিয়ের কথা ভাবছেন জয়া আহসান? প্রেমিক নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের নায়িকা
২০২০ সাল থেকেই লন্ডনে রয়েছেন সানা। করোনা আর লকডাউনের সময়ে মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘসময় সেখানে ছিলেন ডোনা নিজেও। সানা টুয়েলভ পাস করেন কলকাতার স্বনামধন্য লোরেটো হাউস স্কুল থেকে। ছুটিছাটা পেলেই কলকাতায় চলে আসেন সানা। আবার ডোনা-সৌরভও কখনো কখনো চলে যান লন্ডনে।
২৩ বছরের সৌরভ কন্যা ‘ইনোভারভ’-এ কনসালটেন্ট পদে কর্মরত। গ্লাসডোরের মতো ওয়েবসাইটের থেকে জানা যায়, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে এক কনসালটেন্টের বার্ষিক বেতন কমপক্ষে ৪৯,৬৪৭ পাউন্ড। অর্থাৎ সানার বার্ষিক আয় প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫৫ লক্ষ টাকার আশেপাশে।