গুরুতর বিপদে পড়েছিলেন জনপ্রিয় টেলি দম্পতি রাজা ও মধুবনী গোস্বামী। আর সেকথাই ফেসবুক ভিডিয়োর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এই দম্পতি। মূলত বিপদে পড়েছিলেন রাজা। হ্যাকারদের চক্করে পড়েন তিনি। আর এই সমস্যা ও বিপদ থেকে তাঁদের রক্ষা করেন অভিনেতা বন্ধু সায়ক চক্রবর্তী।
ঠিক কী ঘটেছিল রাজার সঙ্গে?
রাজাকে ভিডিয়ো পোস্ট করে বলতে শোনা যায়, ‘গুড মর্নিং বলতে পারছি, সেটা সায়কের জন্য। কেন সেটা তোমাদের জানাব। কালকে রাতে হঠাৎ করেই আমার ফেসবুক পেজটা হ্যাক হয়ে গিয়েছিল, আর সেটা হয়েছিল আমার দোষে বা ভুলেই। আমি আমার পেজটা দেখতে পাচ্ছিলাম, তবে ঢুকতে পারছিলাম না। কারণ, হ্য়াকাররা ঢুকে তারা অ্যাডমিন হয়ে আমাকে বের করে দিয়েছিল। মধুমনী আমার ফেসবুক পেজ থেকে দেখতে পাচ্ছিল। এটা ঠিক করার জন্য পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করেও কোনও লাভ হয়নি।’
এরপরই মধুবনী রাজাকে বলেন, ‘যেভাবে হ্যাক হয়েছিল সেটা বলো…।’
এরপরই রাজা বলেন, ‘যে ভুলের কারণে হ্য়াক হয়েছিল, সেটা হল ফেসবুক একটা ব্লু টিক ব্য়াচ দেয়। আর আমার কাছে একটা মেসেজ এসেছিল লাইফ টাইম ব্লু-টিক ব্যাচ। আমার প্রোফাইলে সেটা করা হয়নি। নোটিফিকেশন এসেছিল, আমি ভেবেছিলাম সেটা ফেসবুক থেকেই এসেছে। তো মেসেজটা খুলতেই আময় বলল ইউ হ্য়াভ টু লগ ইন ফ্রম ল্যপটপ। আমার ল্যাপটপটা বেশ পুরনো, সাধারণত খোলা হয় না। আমি যেই লক ইন করলাম। পুরোটা হ্যক হয়ে গেল। আমি পেজটায় ঢুকতেই পারছিলাম না। এসব করতে করতে পৌণে ২টো বেজে গেল। সায়ককে মেসেজ করলাম, যে ভাই এই এই হয়েছে। ভাবতে পারবেন না, সায়ক ছেলেটি এতটাই ভালো, ও রাতেই ওর কিছু পরিচিতকে ফোন করল। বলল, দেখি আমার কিছু পরিচিত আছে, ওঁরা জেগে আছে কিনা। আরও একটা ছেলে ফোন করল, সেই ছেলেটিকেও অনেক ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন-প্রেমিকার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন, শুভজিৎ এবং সুকন্যার গালে এটা কী লিখলেন শ্রেয়া ঘোষাল?
আরও পড়ুন-‘অযোগ্যকে যদি যোগ্য আর অযোগ্য বাছতে বলা হয়, তাহলে…’ কথা বলা পুতুলকে দিয়ে কী বলালেন ঋত্বিক?
রাজা এরপর বলেন, 'সায়কের সম্পর্কে আমি একটাই কথা বলব, যে এই ভিডিয়োটি হল সায়ক অ্যপ্রিসিয়েশন ভিডিয়ো। ছেলেটা ভীষণ ভালো, খাঁটি মানুষ। ও কীভাবে উঠে এসেছে সেটা ওর মুখ থেকেও শুনেছি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখেছি। ও মানুষটা এতটাই ভালো, তাই এত মানুষ ওকে ভালোবাসেন। সায়কের একটা পেজ আছে। ওর পেজও ফলো করতে পারেন। ভালো মানুষকে ফলো করা ভালো। ওকে বন্ধু বলি বা ভাই-ই বলি। আমার ভাই থাকলে যেটা করত, ও সেটাই করেছে। অনেকসময় নিজের ভাইরাও এতটা করে না। ওর আজকে দিদি নম্বর ওয়ানে শ্যুটিং আছে। আমি ওকে বললাম, এত রাতে ফোন করছিস, সকালে শ্যুটিং নেই?
বলল, সকালে প্রথম হাফেই শ্যুটিং আছে। মানে ওকে ৬টায় উঠতে হবে। ও কিন্তু ৩. সাড়ে ৩টে পর্যন্ত আমার সমস্য়া সমাধানে কথা বলেছে। যেখানে এখন সব সম্পর্কের মধ্যে কাদা ছোড়াছোড়ি। অথচ ওর সঙ্গে আমার এত অল্পদিনের সম্পর্ক। ও সম্পর্কের সেই ভ্যালুটা দিয়েছে, লাভ ইউ সায়ক। তুই অনেক উন্নতি কর, তোর অনেক ফলোয়ার বাড়ুক।' মধুবনীও বলেন, ‘ও খুব ভালো থাকুক। এত ভালো মানুষ।’