একটা সময় টলিউডের একাধিক হিরোইনের সঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের প্রেমচর্চা থাকত সংবাদ শিরোনামে। তবে সব জল্পনায় জল ঢেলে ওপার বাংলার সুন্দরী মিথিলার সঙ্গে বাঁধা পড়েন ‘অটোগ্রাফ’ পরিচালক। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সইসাবুদ করে বিয়ে সেরেছিলেন মিথিলা। বাংলাদেশের বিনোদুনিয়ার পরিচিত নাম রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা।
শনিবার জীবনের আরও এক বসন্ত পার করে ফেললেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন সৃজিত, তবে সবচেয়ে খাস বার্তা নিঃসন্দেহে এসেছে মিথিলার তরফে। এদিন নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করে সৃজিতকে শুভেচ্ছা জানান মিথিলা।
ছবিতে দেখা গেল সোফার উপর বসে রয়েছেন মিথিলা, তাঁর গা ঘেঁষে বসে আছেন সৃজিত। মিথিলার ডান দিকে তাঁর চারপেয়ে পোষ্য এবং তার পাশে আইরা। ছবিতে সৃজিত-মিথিলার সুখী পরিবারের একটা ঝলক উঠে এল। পারিবারিক উদযাপনে জমজমাট সৃজিতের জন্মদিন তা স্পষ্ট। দুজনের পোশাকে রং মিলান্তি। সবুজ টপ আর কালো জিনসে মিথিলা, অন্যদিকে সবুজ কটনের হাফ শার্ট আর ব্লু ডেনিমে সেজে সৃজিত। বরের জন্য মিথিলার বার্তা, ‘শুভ জন্মদিন সৃজিত’।

মিথিলার পোস্ট
সৃজিতের বয়স নিয়ে কম কটূক্তি শুনতে হয়নি তাহসানের প্রাক্তন স্ত্রী মিথিলাকে। ‘তাহসানের মতো হ্যান্ডসামের পর বুড়ো ডিরেক্টর’কে বিয়ে করেছেন এমন কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মিথিলা আর সৃজিতের বয়সের ফারাক জানলে আপনি চমকে যাবেন। বয়স প্রসঙ্গে একবার সরাসরি স্বামীর কাছেই প্রশ্ন রেখেছিলেন মিথিলা নিজে। মিথিলা সঞ্চালিত শো ‘আমার আমি’তে হাজির হয়েছিলেন সৃজিত। সেখানেই মিথিলার কথামতো নিজের আসল বয়স ফাঁস করেন ‘কাকাবাবু’ পরিচালক। জন্মের সাল-তারিখ ঘোষণা করে সৃজিত। সঙ্গে বলেন, 'আমার পাকা দাড়ি দেখে আমার বয়স পঞ্চাশোর্ধ ভাবার কারণ নেই। এর জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী আমার মা। ওঁনার ২৫ বছর বয়স থেকে চুল পাকতে শুরু করে। এই জিনে আমার কোনও হাত নাই'।
১৯৭৭ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন সৃজিত। শনিবার ৪৬ পূর্ণ করলেন পরিচালক। আর তাঁর ‘বেটারহাফ’ মিথিলার বয়স এখন ৪০। দুজনের বয়সের ফারাক মাত্র ৬ বছরের। যদিও সৃজিতের বয়স প্রসঙ্গে মিথিলা ওই শো-তেই জানিয়েছিলেন, ‘ওর আসল বয়স ছয় কী সাড়ে ছয়। আমার মেয়ে আয়রার সঙ্গে যখন ওকে আমি দেখি, এটাই মনে হয়’।
সৃজিত-মিথিলার দাম্পত্যে ভাঙনের গুঞ্জনও হালে কম শোনা যায়নি। কিন্তু অভিনেত্রী বহুবার স্পষ্ট করেছেন, তাঁদের সম্পর্ক ‘স্টেবল’। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘মায়া’ খ্যাত তারকা জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় যেকোনও দাম্পত্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, খিটিমিটি,খুবই সাধারণ বিষয়। সেটা কোথা থেকে কীভাবে খবরে চলে আসছে বুঝতে পারি না। আমি যেহেতু বাইরে বাইরে থাকি, নিজেদের মধ্যে বিষয়গুলির সমাধান হওয়ার আগেই বিষয়গুলো পাবলিক হয়ে যায়। এবার যদি সত্যিই সিরিয়াস কিছু ঘটে, সেটা তো আমরা জানাবই। তার অপেক্ষা না করে এই যে গুঞ্জন বলে খবর হয়ে যাচ্ছে। সত্যিই বিচ্ছেদ হলে এরপর কেউ বিশ্বাস করবেন না। সেই পালে বাঘ পড়ার মতো হবে’।
প্রসঙ্গত, মিথিলা আপতত ব্যস্ত টলিউডে নিজের পরবর্তী প্রোজেক্ট ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’ নিয়ে, ওদিকে সৃজিত ব্যস্ত নিজের পুজো রিলিজ দশম অবতার নিয়ে।