ঠিক যেন পাঁচতারা হোটেল। দরজা খুলে ঢুকেই মুগ্ধ হতে হয়। বিশাল শয়নকক্ষের পুরোটাই নীল-সাদা থিমে সাজানো। সাদা দেওয়ালে প্রিন্টেড ডিজাইন, রয়েছে ড্রেসিং টেবিল, বিশাল বড় ওয়ারড্রব। বড় নীল বিছানায় টানটান করে পাতা সাদা চাদর। পাশে দুটো সাদা বেড টেবিল, তার উপর জ্বলছে টেবিল ল্যাম্প। পুরো ঘরের আবহ মুগ্ধ করার মতোই। ভাবছেন তো একার শয়নকক্ষের বর্ণনা দিচ্ছি!
এটি পরিচালক-কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের শোবার ঘর। সম্প্রতি তিনি নিজের সেই ঘরের মেকওভার করেছেন। আর তাই নিজের হোটেলের মতো সুন্দর বেডরুম অনুরাগীদের ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন ফারহা। যা সত্যিই পাঁচতারা হোটেলের মতোই সুন্দর। ভিডিওতে দেখা যায় ফারাহ নিজের শোূবার ঘরের দরজা খুলে সকলের উদ্দেশ্যে ফারহা বলেন, ‘হাই, আমি ফারাহ খান এবং আপনারা আমার এই বেডরুম ঘুরে দেখতে পারবেন।… ’ এরপর কখনও বই পড়া তো কখনও ফুলদানিতে ফুল রাখা কিংবা আলমারি নাড়াচাড়া করা, এমনই নানান মুহূর্তের কোলাজ উঠে এসেছে ফারহার পোস্ট করা ভিডিয়োতে।
ফারহার এই ঘরে বেড ছাড়াও রয়েছে সোফা সেট, আলমারিতে নানা জিনিসপত্রের সঙ্গে রয়েছে একাধিক রঙের ক্লাচ এবং হ্যান্ডব্যাগ। ঘরের টেবিলের এক কোণে সাজানো রয়েছে বুদ্ধ মূর্তি এবং তিন সন্তানের সঙ্গে তাঁর ছবি। যেকেউ এই ঘরে ঢুকলে শান্তি খুঁজে পাবেন, তা বলাই বাহুল্য। বলা যেতে পারে ফারার এই ঘর যেন একটুকরো 'সুখী গৃহকোণ'-এর ছবি।
প্রসঙ্গত, ব্যক্তগত জীবনে ফারাহ খান চলচ্চিত্র সম্পাদক শিরীশ কুন্দরকে বিয়ে করেছেন। এই দম্পতির ১৫ বছর বয়সী তিন সন্তান রয়েছে। যাদের নাম দিভা, অন্যা এবং সিজার।
ফারহা খানের বেড়ে ওঠা
সম্প্রতি একটা পডকাস্টে ফারাহ জানিয়েছেন, যে কীভাবে তার বাবা পরিচালক বাবা ফ্লপ ছবি করার পরে সবকিছু হারিয়ে বসেছিলেন। ফারহার কথায়, ‘আমাদের ঘরে তখন আক্ষরিক অর্থেই কিছুই ছিল না। আমরা দরজা খুলে শুতাম, কারণ কেউ এলে হয়ত কিছু সাহায্য করে যাবেন। কারণ আমরা তখন একপ্রকার নিঃস্ব হয়েছিলাম।’