নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে তাঁর মিষ্টি অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকে। ছোট্ট পুঁটি পর্দায় যেভাবে ঠাকুমা থেকে শুরু করে দুষ্টু জেঠিমা আর জ্যাঠাকে জব্দ করে তা হাঁ হয়ে দেখে দর্শক। কিন্তু বাস্তবে পর্ণা-সৃজনের মেয়ে আসলে কেমন? তা জানা গেল দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে।
রচনার শো-তে মায়ের হাত ধরে হাজির হয়েছিল পুঁটি মানে মাহি সিং। সেখানে একদম উলট পুরাণ। সাধারণত খুদের দুষ্টুমির কীর্তি শো-তে ফাঁস করে মায়েরা। এখানে উলটে মা, মধুমন্তী সিং-এর কীর্তি শোনাল খুদে মাহি। বয়স সবে ৯ বছর, ক্লাস ৫-এ পড়ে মাহি। অথচ গোটা পরিবারের হাল ধরেছে সে! পুঁটি জানায়, তাঁর মা কত্তটা নার্ভাস, মাঝেমধ্যে তো পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকেই! রচনাকে সে জানায়, একবার জল ভরতে গিয়ে ভরা জলের বোতল কলের উপর ফেলে দেয় মা। কল ভেঙে প্রচণ্ড ফোর্সে জল ঢুকতে থাকে গোটা ফ্ল্যাটে।
সেই সময় মেয়েকে ডেকে মা বলছে, ‘মামমাম কিছু কর, কিছু কর…’। পাশ থেকে মা বলছে, ‘আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছিলাম না কী করব, প্রচণ্ড নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম, ভাগ্যিস ওর বাবা ওইদিন তখনও অফিস বেরোয়নি’। এরপর মাহি জানায়, উপরে গিয়ে টাঙ্কের জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যায় বাবা। সেখানে আরেক কাণ্ড, জল বন্ধ করার জন্য যে লোহার রিংটা থাকে, সেটাই ভেঙে হাতে চলে আসে বাবার। সব শুনে রচনা বলেন, ‘তোমার মা তো দারুণ, সঙ্গে বাবাও’।
মাহির মা জানায়, সকলে কখনও তাঁকে বলে না যে মেয়েকে সামলে রাখো। উলটে মেয়েকেই বলে, ‘তোর মাকে সামলে রাখিস’। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন নিম ফুলের মধুর সেটে গোল টেবিল বৈঠক বসে পর্ণা, রুচিরাদের। পল্লবী, সৌম্যিরা প্রতিদিন পুঁটির পেট থেকে বার করে আনে তাঁর মায়ের মজাদার কীর্তি। সেই নিয়েই জমে যায় মেকআপ রুমের আসর।
পর্দা ছাপিয়ে বাস্তবে মেয়ের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে পল্লবী শর্মার। অভিনেত্রীকে এর আগে বলতে শোনা গিয়েছে, মাহির মত অভিনেত্রী হয় না। এত দ্রুত সে সবার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে, এত দিন পরে ধারাবাহিকে এসে অত্যন্ত সাবলীলভাবে অভিনয় করছে। সিনিয়র অভিনেতাদের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে সে।
এর আগে স্টার জলসার হরগৌরী পাইস হোটেল, ফিরকি, জি বাংলার খেলনা বাড়ির ছোট্ট গুগলির চরিত্রে অভিনয় করেছে মাহি।