মমতা শঙ্করকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিশেষ করে তাঁর বলা কিছু কথা। তা সে শাঁড়ির আচল হোক বা চুমু, মমতা শঙ্কর কখনোই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর নিন্দা করেছিলেন বাবা বা ভাই বা ছেলেকে দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনানো নিয়ে। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনা উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
তবে এবার ফের চর্চায় মমতা শঙ্কর। যেখানে অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী দাবি করে বসেন যে, তিনি যখন ঠাকুরের কোনো ভোগ রান্না করেন, তা ঠাকুরের কাছে নিবেদনের আগে নিজে চেখে দেখেন। যা নিয়ে ফের দ্বিধাবিভক্ত নেটপাড়া।
সম্প্রতি দ্য ওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি যখন ঠাকুরের ভোগ রান্না করি। আমি নিজে খেয়ে দেখি। অনেকেই বলে চাখতে নেই। আমার মা-ও এটা করতেন। ঠাকুরকে যখন ফুল দেই, আমার বাগানের বেল ফুল হয়, সেটা শুঁকে ঠাকুরকে দিলাম। যদি খেয়ে দেখি নুন মিষ্টি সব ঠিক আছে, তখন তা নিবেদন করলাম। আমি তো মা। যখন ছেলেদের ছেলেবেলায় কিছু খাওয়াতাম, তা চেখে দেখতাম। যে খারাপকিছু পড়েনি তো। আমার মনে হবে যেটা সবচেয়ে ভালো আমি সেটাই দেব।’
মমতা শঙ্করের সাক্ষাৎকারের এই ক্লিপিংশ একাধিকবার শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। তাঁর বক্তব্য নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে। একজন লেখেন, ‘চেখে দেখা মানেই তো আপনি এঁঠো করে ফেললেন। এটা উচিত নয়।’ আরেকজন লেখেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রেমানন্দ মহারাজকেও একটি ভিডিয়োতে এমনটাই বলতে শুনেছিলাম। ঠিকই তো ঠাকুর বিস্বাদ খাবার কেন খাবেন।’ আরেকজন আবার প্রশ্ন করেন, ‘বাবা, আপনার এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা এত উদার হলেও, মেয়েদের নিয়ে, মেয়েদের পিরিয়ডস নিয়ে, মেয়েদের শাড়ি পরা নিয়ে এত ছোটবড় কথা কেন বলেন?’