
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কৃষক আন্দোলনের সময় বিক্ষুব্ধ চাষীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দিলজিৎ, অথচ দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জের উপর চটে যান কৃষক নেতারা। ওদিকে কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলে গোটা দেশের চক্ষূশূল হয়েছিলেন কঙ্গনা। পরবর্তীতে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়ে মান্ডির সাংসদ তিনি।
অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর অবশেষে মুক্তির আলো দেখেছে কঙ্গনার ইমার্জেন্সি। এই ছবিতে দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা মিলেছে কঙ্গনার। ইন্দিরার ভূমিকায় মুগ্ধ করেছে কঙ্গনা। ছবির প্রচারে দিলজিৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন নায়িকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনাকে প্রশ্ন করা হয়, দিলজিতের সঙ্গে দেখা করায় তিনি বিব্রত বোধ করছেন কি না। শুভঙ্কর মিশ্রের সঙ্গে একটি পডকাস্টে কথোপকথনের সময় কঙ্গনাকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তাঁর অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
এর জবাবে বলিউডের কুইন বলেন, ‘তিনি (মোদী) ছিলেন মূল ব্যক্তি। কৃষক আন্দোলনের সময় উনি সামনের সারিতে ছিলেন, তাঁদের রক্ষা করার জন্য, সেই মানুষদের রক্ষা করার জন্য। যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছিল তাদের রক্ষায় মোদীজি ছিলেন অগ্রণী।’ কঙ্গনার হয়ে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানন্ত্রী, তবে দিলজিৎ-এর সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ সেরেছেন মোদী। সেই সৌভাগ্য এখনও হয়নি কঙ্গনা। যদিও তিনি চেষ্টা করেননি তেমনটা নয়। সেই প্রসঙ্গ টানতেই অভিনেত্রী বললেন, ‘এতে (প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ব্যর্থ চেষ্টা) লজ্জার কী আছে? প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা না করে দিলজিৎ নিয়ে বিব্রত হওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না। তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) কাছে সব জনতাই সমান’।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় তিনি হতাশ নন বলে জানিয়েছেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, ‘আমি হতাশ হইনি। আসলে, তার সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি। হয়তো আমি একবার তার সাথে দেখা করেছি এবং নমস্তে বলেছি কিন্তু কখনও তাঁর সাথে কথা বলিনি।’
অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন যে মনোজ মুনতাশির এবং অনুপম খের সহ তাঁর বেশ কয়েকজন বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে দেখা করেছেন। কথোপকথনের এক পর্যায়ে কঙ্গনা গত ১০ ডিসেম্বর সমগ্র কাপুর পরিবারের সাথে অনেক ক্রীড়াবিদ, রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটের সাথে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাক্ষাতের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
কঙ্গনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও একদিন একান্তে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। নিজেকে ‘প্রধানমন্ত্রীর বড় ভক্ত’ বলে অভিহিত করে কঙ্গনা বলেন যে তিনি তাঁর সাথে আলাপচারিতা করতে চান এবং তাঁর সাথে জ্ঞান বিনিময় করতে চান এবং শিল্প সম্পর্কে মোদীজি কী ভাবেন তা নিয়েও গভীর আলোচনা করতে চান।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা বলেন, তিনি বুঝতে পারছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর খুব ব্যস্ত সময়সূচী রয়েছে যা ব্যক্তিগত বৈঠকের আশা করা সবসময় অবাস্তব করে তোলে।
বছরের শুরুতেই অভিনেতা-গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেছেন। ‘২০২৫ সালের দারুণ শুরু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির সঙ্গে একটি অত্যন্ত স্মরণীয় বৈঠক। আমরা অবশ্যই মিউজিকসহ অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি’, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কিছু ছবি শেয়ার করে দোসাঞ্জ এক্স-এ লিখেছিলেন দিলজিৎ।
প্রধানমন্ত্রী মোদীও এক্স-এ অভিনেতা-গায়কের সাথে তাঁর সাক্ষাতের একটি ঝলক শেয়ার করে পালটা লেখেন, ‘দিলজিৎ দোসাঞ্জের সঙ্গে দারুণ কথোপকথন! তিনি সত্যিই বহুমুখী, প্রতিভা এবং ঐতিহ্যের মিশ্রণ। আমরা সংগীত, সংস্কৃতি এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি’।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports