হামেশাই জোজো মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা মেলে গায়িকা পুত্র আদীপ্তর। যদিও নেটিজেনরা তাঁকে আদি নামেই চেনে। জোজোর মেয়ে এখন অনেকটাই বড়, আর তাই ২০২১-এ ৫০ বছর বয়সে এসে আদিকে দত্তক নেন গায়িকা। তারপর থেকে ছেলেই এখন গায়িকার নয়নের মণি। ছেলেকে নিয়েই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যান, আবার সুযোগ পেলে বেড়াতেও চলে যান। কাজের বাইরে যতটা পারেন আদিকেই পুরোপুরি সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আর এবার অতি সম্প্রতি ছেলেকে নিয়ে ছুটি কাটাতে সমুদ্র সৈকতেও পৌঁছে গিয়েছিলেন গায়িকা জোজো মুখোপাধ্যায়। আর সেই ছবিই উঠে এসেছে গায়িকার সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাঁর এই সফরে সঙ্গী হয়েছিলেন গায়িকার মিউজিশিয়ান বন্ধু ও তাঁদের পরিবার। সেখানে জোজো পুত্র আদি ছাড়াও ছিল আরও বেশকয়েকজন খুদে। যদিও তাঁদের গন্তব্যস্থল ঠিক কোথায় ছিল, তা তাঁদের পোস্টে স্পষ্ট নয়। তবে ছবি দেখে অনুমান দিঘা কিংবা মন্দারমণি সংলগ্ন কোনও সমুদ্র সৈকতেই বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ছিলেন সুন্দর একটি রিসর্টে। সেখানেই জোজো, আদি সহ বাকি সকলকে কখনও সমুদ্রস্নানে কিংবা হোটেলের সুইমিং পুলে জলকেলিতে দেখা গেল।
‘সারাদিন হুল্লোড়…আমরা সবাই’, এই ক্যাপশানে বেশকিছু ছবি পোস্ট করেছেন জোজো মুখোপাধ্যায়। আবার কখনও ‘Late night pool session..lalalalala continues..…Video courtesy- Saibal Karmakar....' ক্যাপশানে (দীর্ঘ রাত পর্যন্ত লালালালা চলল) ক্যাপশানে সুইমিং পুলে নেমে সঙ্গীতশিল্পী বন্ধুদের সঙ্গে জলকেলির ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন জোজো।
আবার ছুটি শেষে সমুদ্র সৈকতে সকলের সঙ্গে ছবি দিয়ে জোজো লিখেছেন, ‘আমাদের ছুটি শেষ... এবার বাড়ি ফিরে যাওয়ার এবং কাজে ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে.... কিন্তু আমরা আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি অনেক আনন্দ, সুখ, সুন্দর মুহূর্ত এবং স্মৃতি যা আমাদের নিয়মিত জীবনের এক নতুন মুহূর্ত উপহার দেবে... পরের দেখা না হওয়ার আগে পর্যন্ত মনে থাকবে হাসিখুশি দিনগুলো...’
প্রসঙ্গত, এর আগে ৫০ বছর বয়সে এসে পুত্র সন্তান দত্তক নেওয়া প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা জোজো বলেন, তিনি ভীষণ লাকি যে তাঁর সিদ্ধান্তে সবসময় তাঁর পরিবার পাশে ছিল। জানান, তাঁর মেয়ে বাজোকে তিনি মানুষ করেননি। সে মাইসোরে তাঁর শাশুড়িমায়ের কাছেই বড় হয়েছে। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৮। বাজো এখন চাকুরিজীবী। আর জোজোর স্বামীর হোটেলের ব্যবসা, তিনি থাকেন উত্তরবঙ্গে। যদিও গায়িকার কথায়, ‘আমার স্বামী আমায় বলেছেন, তোমায় জায়গায় আমি থাকলে এই সিদ্ধান্তটা নিতেই পারতাম না। আর আমার মেয়ে আমার সিদ্ধান্তকে সবসময় সমর্থন করেছে। ’