আমির খানের সঙ্গে তাঁর ভাই ফয়জল খানের দূরত্ব দীর্ঘদিনের। মাঝেমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে দাদার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন ‘মেলা’ খ্যাত প্রাক্তন অভিনেতা। ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি আম জনতার কাছেও আমিরের ভাই হিসাবেই পরিচিত তিনি। বলিউডে নিজের পায়ের নীচের মাটি কোনওদিন শক্ত করতে পারেননি ফয়জল, এর জন্যও দুষেছেন দাদাকে। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন ফয়জল। সংবাদ সম্মেলনে আমিরের ভাই দাবি করেন, প্রথম স্ত্রী রিনার সঙ্গে বিবাহিত থাকাকালীন আমিরের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এবং সেই মহিলার সঙ্গে আমিরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
ফয়জল খানের দাবি আমির যখন কিরণ রাওয়ের সঙ্গে লিভ ইনে ছিলেন, তখন খান পরিবার চাইছিল ফয়জল বিয়ে করে নিক। কিন্তু তিনি রাজি হননি। বিস্ফোরক সংবাদ সম্মেলনে আমিরের ভাই বলেন, 'আমার পরিবার আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমি এতটাই রেগে গিয়েছিলাম, চিঠি লিখেছিলাম যে আমার পরিবার কী করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমির রিনাকে বিয়ে করেছিলেন এবং পরে তালাক দিয়েছেন। তারপর জেসিকা হাইনসের সাথে আমিরের সম্পর্ক ছিল, তাঁদের এক অবৈধ সন্তানও রয়েছে’। প্রসঙ্গত, একসময় জেসিকার সঙ্গে আমিরের সম্পর্ক নিয়ে বি-টাউনে কম রটনা শোনা যায়নি। কিন্তু সেই নিয়ে প্রকাশ্য মুখ খোলেননি দুজনেই। প্রায় আড়াই দশক পর আমিরের পুরোনো প্রেমপর্ব নিয়ে বিস্ফোরক ভাই।
ফয়জল আরও উল্লেখ করেন তার পরিবারের সদস্যরা কোনওদিনই দাম্পত্য সম্পর্কে সুখী হয়নি। এর জেরেই তাঁর বিস্ময় কেন তারা ফয়জলকেও বিয়ের পরামর্শ দিয়েছিল বারবার।
পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফয়জল জানান, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয় কিন্তু নতুন সাহসের সঙ্গে আমি জানাতে চাই যে আমি সমস্ত পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করেছি, যেমনটি একটি পাবলিক নোটিশের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপটি কঠিন হলেও আমার নিরাময় এবং বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। জীবনে এখন স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং আত্ম-আবিষ্কারের একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি - যা আমি ইতিবাচকতা, সত্য এবং শক্তি দিয়ে আলিঙ্গন করতে চাই’।
ফয়জল আগেই দাবি করেছিলেন, ‘স্কিৎজোফ্রেনিয়া’র রোগি, মানসিক ‘ভারসাম্যহীন’ আখ্যা দিয়ে দাদা আমির তাঁকে বছর খানের ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন। সেই 'অত্যাচার'-এর এদিন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে পুনর্ব্যক্ত করেন ফয়জল। ১৬ অগস্ট ফয়জলের বিবৃতির পরে, আমিরের পরিবারের সদস্যরা পালটা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ফয়জলের দাবি,'ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং কষ্টদায়ক'। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন রীনা দত্ত, জুনায়েদ খান, ইরা খান, ফারহাত দত্ত, রাজীব দত্ত, কিরণ রাও, সন্তোষ হেগড়ে, সেহের হেগড়ে, মনসুর খান, নুজহাত খান, ইমরান খান, টিনা ফনসেকা, জায়ান মেরি খান এবং পাবলো খানের।
রিনা দত্তের পর কিরণ রাও-কে বিয়ে করেছিলেন আমির, সেই বিয়ের পরিণতিও হয় ডিভোর্স। ষাট বছরের তরুণ তুর্কি আমির আপতত প্রেম করছেন গৌরী স্প্র্যাটের সঙ্গে।