ধনুশের 'রাঁঝনা' বলিউডের প্রথম সারির জনপ্রিয় ছবিগুলির মধ্যে একটি। ২০১৩ সালে তিনি এই ছবির হাত ধরেই বি-টাউনে পা রেখে ছিলেন। তবে শুরুর দিকে এই ছবিতে কাজ করতে চাননি নায়ক! সম্প্রতি ছবিটির ১২ বছর পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ ফ্যান স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অভিনেতা এই কথা ভাগ করে নেন। যদিও 'রাঁঝনা' বছরের পর বছর ধরে দর্শকদের কাছে সমান ভাবেই জনপ্রিয়তা পেয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: স্নাতক হলেন অজয়-কন্যা নাইসা! মেয়েকে নিয়ে আবেগে ভাসলেন মা কাজল
ধনুশের কথায়, ‘সেই সময়, আমাকে মুখ্য চরিত্রে নেওয়ার বাজেট তাঁদের কাছে ছিল না। কিন্তু এই লোকটার (পরিচালক আনন্দ এল রাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন) আবেগ এতটাই প্রবল ছিল যে, তিনি আমাকে কুন্দনের চরিত্রে অভিনয় করাতে চেয়েছিলেন। তিনি যে কোনও অভিনেতাকে এই চরিত্রটি অফার করতে পারতেন এবং তাঁরাও ওঁর সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়ে যেতেন ওই বাজেটে। কিন্তু তিনি আমাকেই চেয়েছিলেন। আমি জানি না এটা আমার বলা বলা উচিত কিনা। কিন্তু ও নিজের টাকাও বিনিয়োগ করেছিল আমাকে কাস্ট করার জন্য। ও আমার মধ্যেই কুন্দনকে দেখেছিল এবং নিজের সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে অটল ছিল।’
নায়ক আরও জানান যে, এটা তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি ছিল। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর মধ্যে কিছুটা ভয়ও কাজ করছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম ছবিতে আমি ভয় পাইনি। যখন আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তখনও আমি ভয় পাইনি। আমি এমনই। কিন্তু প্রথমবারের মতো, আমি ভয় পেয়েছিলাম। আমি দায়িত্ববোধ অনুভব করছিলাম। তাই, আমি ঈশ্বরের কাছে খুব প্রার্থনা করছিলাম যে, এই লোকটিকে যেন কোনও ভাবে বাঁচানো যায়।’
আরও পড়ুন: ধূমকেতুর পর কি আর কোনও ছবিতে দেব-শুভশ্রীকে জুটিতে দেখা যাবে? 'যদি আবদার করে…', মুখ খুললেন নায়ক
প্রসঙ্গত, এই ছবিতে ধনুশকে 'কুন্দন'-এর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। তিনি ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন সোনম কাপুর, অভয় দেওল, স্বরা ভাস্কর এবং মোহাম্মদ জিশান আইয়ুব। পরিচালক হিসেবে আনন্দ এল রাইয়ের ক্যারিয়ারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ছবি এটি। ‘রাঁঝানা’র পর ধনুশ এবং আনন্দ এল রাই আবার জুটি বেঁধেছেন। ২০২১ সালে তাঁদের ছবি ‘আতরঙ্গি রে’ মুক্তি পায়। এরপর ‘তারা তেরে ইশক মে’-তে একসঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা।