হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার ফারহা এল কাদির। ইউরোপের দ্বীপ মাল্টায় ছুটি কাটানোর সময় এক ইয়টে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ফারাহ এল কাদি। তাঁকে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর। ফারহার আকস্মিক মৃত্যুতে মর্মাহত তাঁর অনুরাগীরা।
ফারহা এল কাদির ইনস্টাগ্রাম বায়ো অনুসারে, সৌন্দর্য এবং লাইফস্টাইল সামগ্রী তৈরির পাশাপাশি তিনি একটা বেসরকারী সংস্থার স্থপতিও ছিলেন।মধ্য ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত ইউরোপীয় এই দ্বীপে থাকাকালীন তিনি বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের প্রচারও করছিলেন। ফারহার শরীরে কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই সবটা সঠিকভাবে জানা সম্ভব বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
ফারহা এল কাদির শেষ ইনস্টাগ্রামে পোস্টটি ছিল গত ৭ জুন, গ্রিসের মাইকোনোসের এক রেস্তোরাঁ থেকে সেটি পোস্ট করেছিলেন ফারহা। তিনি নিজেকে ‘ভ্রমণ আসক্ত’ এবং বাথরুম গায়ক হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
ইতালি থেকে করা তাঁর আগের পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি আমার জীবন স্প্যাগেটি অ্যালে ভঙ্গোল ও আল পোমোডোরো খেয়ে, প্রসেকো পান করে, প্রাডা পরে এবং ইরোস রামাজ্জতির গান গেয়ে কাটিয়ে দিতে পারি।’
দেখুন তাঁর শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
ফারাহ এল কাদির আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক অনুরাগীরা
এই মৃত্য়ুর খবরে তিউনিসিয়ান বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার সোলাইমা হ্নেইনিয়া লিখেছেন, 'ফারাহ এল কাদি সত্যিই একজন দুর্দান্ত ব্যক্তি, তিনি তাঁর দয়া, উদারতা এবং উষ্ণতার জন্য পরিচিত'। তিনি আরও লিখেছেন, ‘যাঁরা তাঁকে কাছ থেকে জেনেছেন বা দেখেছেন, ফারহার ইতিবাচক মনোভাব তাঁদের প্রত্যেককে স্পর্শ করেছিল। তিনি তো ঘুমের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গিয়েছেন’।
ফারহা এল কাদির শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টের নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। হায়াত ইন্টারন্যাশনাল রিয়েলটির সভাপতি সিইও এডি ফ্যাডেল লিখেছেন, ‘কোন শব্দ নেই। আপনার স্মৃতি চিরস্থায়ী হোক।’ আরও একজন বিস্মিত হয়ে লিখেছেন, ‘তিনি সবেমাত্র মে মাসে ওমরাহ পালন করেছেন। মনে হচ্ছে তিনি যেন এক নবজাতক শিশু যাঁর কোনো পাপ নেই। আপনার জন্য জন্নাত অপেক্ষা করে আছে। ’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘কোনও কথা নয় তোমার স্মৃতি চিরন্তন হোক।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চে ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার ও প্রাণী অধিকার কর্মী এলেনা লারিয়াও এভাবে হঠাৎ মারা যান। লাইপোসাকশন চিকিৎসার পর রক্ত জমাট বাঁধার কারণে মারা যান।