বাংলায় ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বিতর্কিত টুইট করেছিলেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর টুইটে হিংসা ছড়াচ্ছে বাংলায় এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী কোর্টে মামলা করেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হঠাৎই কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ডেড করা হল। বাংলার ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক টুইট করেছিলেন তিনি। যা টুইটারের ‘Hateful Conduct’ নীতির বিরুদ্ধে, অর্থাৎ ঘৃণা ছড়ায় এমন বার্তা দিচ্ছিলেন কঙ্গনা।
যদিও অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্ট টুইটার থেকে পুরোপুরি সাসপেন্ড হতেই বলি ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে রিচা চাড্ডা, স্বরা ভাস্কর, গুলশান দেবাইয়া এবং হনসল মেহাতা প্রমুখ।
কারও নাম না করে, রিচা এই লেখার সাথে একটা মিম শেয়ার করেছেন, ‘নিজের মতো হও। অন্য কোথাও’। এক নেটিজেন তো টুইট করে লিখেছেন, আইপিএল এবং কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়েছে। দেশে মনোরঞ্জনের ভারী কমতি পড়েছে।
এক ফ্যাশন হাউস কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার খবর শেয়ার করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্বরা লিখেছেন, 'এটা দেখে আনন্দের পাশাপাশি অবাক হয়েছিলাম! @AnandBhushan এবং #RimzimDadu তোমারা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য, সরাসরি ভাবে গণহত্যার জন্য ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং উস্কানি দেওয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য! এভাবেই পাশে থেক বন্ধুরা’।
গুলশান টুইট করেছেন, ‘মহারাজ তার ভ্রু ছিঁড়ে ফেলার সময় নিজের পায়ে গুলি করেছিলেন। বেচারা বিরাট, তার নাম অযথা এর মধ্যে টেনে আনা হয়েছিল’। পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পরে সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় একটি টুইটে কঙ্গনা ২০০০ সালে মোদীর ‘বিরাট রূপ’ উল্লেখ করেছিলেন।
হানসাল তার সিমরন তারকার জন্য লিখেছিলেন, ‘সম্পূর্ণ নাটক’। হানসাল একজন সাংবাদিকের টুইটের জবাবে লিখেছেন। কঙ্গনার স্থগিত অ্যাকাউন্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে সাংবাদিক লিখেছেন, ‘এখন অন্য কোথাও কু-তে তাঁর সমস্ত বিষাক্ত হিংস্র সাম্প্রদায়িক টুইট করতে দিন। ধন্যবাদ @Twitter @jack আপডেট: এখন তিনি ইনস্টাগ্রামে কাঁদছেন যে ’দেশদ্রোহি' দেশ চালা রহে হ্যায়। টুইটার থেকে বরখাস্ত হওয়ার বেদনা বাস্তব'।

বিদিতা বাগ লিখেছেন, ‘লাগে হাত #KanganaRanaut কা ইনস্টাগ্রাম ভি সাসপন্ড করওয়া দো (টুইটার অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি, দয়া করে কঙ্গনা রানাওয়াতের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও স্থগিত করুন)... ম্যাম দয়া করে কু অ্যাপে আপনার পুপ ফেলুন’।
মঙ্গলবার সকালে টুইটারের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেনে, কঙ্গনার অ্যাকাউন্টটি ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করা হয়েছে।
যদিও অ্যাকাউন্ট স্থগিতের পর থামেননি কঙ্গনা। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন তিনি। টুইটারের উদ্দেশে কঙ্গনার বার্তা- ‘টুইটার প্রমাণ করে দিয়েছে আমার দৃষ্টিকোণ, ওঁরা আমেরিকান, এবং জন্মগতভাবে শ্বেতাঙ্গারা বিশ্বাস করে বাদামী চমড়ার মানুষ ওদের দাস। ওরা তোমরা কী বলবে বা ভাববে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। সৌভাগ্যবশত আমার কাছে আরও অনান্য মাধ্যম রয়েছে, যেখানে আমি নিজের বাক স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে পারব, আমার নিজের শিল্প-ভাবনা নিয়ে কথা বলব। এর মধ্যে অবশ্যই রয়েছে, আমার সিনেমা।তবে আমার মন কাঁদছে আমার দেশের সেইসব মানুষের কথা ভেবে যাঁরা বছরের পর বছর নির্যাতিত হচ্ছে, অত্যাচারের শিকার হচ্ছে… এবং তাঁদের এই কষ্টের শেষ নেই’।