বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Basabdatta Exclusive: ‘জানলে কাজটা নিতাম না’! কার কাছে কই মনের কথা-য় মেইন থেকে সাইড রোল, ক্ষোভ বাসবদত্তার মনে?
পরবর্তী খবর
Basabdatta Exclusive: ‘জানলে কাজটা নিতাম না’! কার কাছে কই মনের কথা-য় মেইন থেকে সাইড রোল, ক্ষোভ বাসবদত্তার মনে?
8 মিনিটে পড়ুন Updated: 25 Jun 2024, 10:20 AM ISTSayani Rana
সম্প্রতি বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছিল 'কার কাছে কই মনের কথা'-এ। কিন্তু কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে ধারাবাহিকের শ্যুটিং, তাই এখন তিনি পাকা 'রাঁধুনি'। সবটা নিয়ে তাঁর পথ চলাটা ঠিক কেমন ছিল? সে কথাই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়।
ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে তিনি কাটিয়েছেন ফেলেছেন প্রায় ১৪-১৫বছর। এর মাঝে এসেছে নানা বদল। প্রথমে ঋতুপর্ণ ঘোষের 'গানের ওপারে'-র দামিনী হয়ে নজরকাড়ে মেয়েটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে 'বয়েই গেল', 'মন নিয়ে কাছাকাছি', 'আসা যাওয়ার মাঝে', 'তখন কুয়াশা ছিল'-সহ নানা মেগা ও ছবির হাত ধরে হয়ে উঠেছেন একজন বিচক্ষণ অভিনেত্রী। সম্প্রতি তাঁকে দেখা যাচ্ছিল 'কার কাছে কই মনের কথা'-তে। কিন্তু কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে ধারাবাহিকের শ্যুটিং, তাই এখন তিনি পাকা 'রাঁধুনি'। সবটা নিয়ে তাঁর পথ চলাটা ঠিক কেমন ছিল? সে কথাই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়।
অনেকদিন পর সঞ্চালনা কেমন লাগছে?
বাসবদত্তা: আমার ক্যারিয়ার শুরুই হয়েছিল সঞ্চালনা দিয়ে, তবে কুকারি শোতে এই প্রথমবার। অনেকটা দিন গ্যাপের পর আবার 'রাঁধুনি'র সঞ্চালিকা হয়ে বেশ ভালো লাগছে।
ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায়, আপনি নাকি খুব বেছে কাজ করেন, সেখানে 'রাঁধুনি'কে বেছে নেওয়া কারণ ?
বাসবদত্তা: আমি বেছে কাজ করতে অবশ্যই পছন্দ করি। আর 'রাঁধুনি'-কে বেছে নেওয়ার প্রধান কারণ হল, আমি রান্না করতে ভীষণ ভালোবাসি। পাশাপাশি প্রথমবার এরকম একটা কুকারি শো হোস্ট করছি। অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
বাসবদত্তা: তা জানি না, তবে সব রকম খাবার মোটামুটি রান্না করার চেষ্টা করি। চাইনিজ, থেকে স্যান্ডউইচ, বাঙালি রান্না যেমন লাউ চিংড়ি, শুক্তো, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, চিংড়ি মাছের ভাপা সব রকমই রান্না করতে পারি। বাঙালি রান্নাগুলো করতে বেশি ভালোবাসি।
রান্না তো অনেক কিছু করেন, কিন্তু আপনি কী খাদ্য রসিক নাকি ডায়েট ফ্রিক?
বাসবদত্তা: আমি ব্যালেন্স ডায়েটে বিশ্বাসী। শরীরে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট সব দরকার। তাই কোনও কিছু ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু না খেয়ে আত্মাকে কষ্ট দিয়ে, আমি ডায়েটে আছি বলতে পারব না। আমি সব রকম খাবার খাই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকাও খাই, আবার আমার খুব পছন্দের খাবার পেস্ট্রি সেটাও খাই। তবে সেটা রোজ নয়। যদি একদিন খুব বেশি খাওয়া হয়ে যায়, তাহলে পরের দিন বাড়ির হালকা খাবার খেয়ে সেটাকে ব্যালেন্স করেনি। আমার মনে হয়, একটা নির্দিষ্ট সময় ছাড়া এই ধরনের খাবার আমরা খেতে পারি। একটা ব্যালেন্স ডায়েটে থেকে, যদি ওয়ার্ক আউট করা যায় তাহলেই পুরো বিষয়টাকে ব্যালেন্স হয়ে যায়।
আচ্ছা, বাসদত্তা মানেই অনেকের কাছে বাকি অভিনেত্রীদের থেকে আলাদা, তারপর আবার ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে প্রথম কাজ, এই সব কি কখনও কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে?
বাসবদত্তা: দর্শকের ভাবনা চিন্তার ওপর নির্মাতাদের ভাবনা-চিন্তা তো নির্ভর করে না। কিন্তু অনেকেই আমাকে ভালো মা, ভালো মেয়ে বা তথাকথিত ভালো চরিত্র দেখতে পছন্দ করেন। তাই পরিচালকদের কাছ থেকে অনেক সময়ই আমাকে শুনতে হয়েছে যে আমার মতো চরিত্র পেলে দেওয়া হবে। আমার মতো চরিত্রটা ঠিক কী? আর একটা ধরনের চরিত্রের মধ্যে যদি অভিনেতাকে বেঁধে দেওয়া হয়, সেটা অনেক সময়ই ভালো লাগে না তাঁর করতে। সেটা করতে করতে একঘেয়ে বোধ হয়। তাই একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব রকম চরিত্র করতেই ইচ্ছা করে। তাই কোথাও গিয়ে যখন কেউ ভেবে নেন যে, আমাকে একই ধরনের চরিত্র দেখা যাবে, সেই ভাবনাটাতে আমার একটু আপত্তি রয়েছে।
তাছাড়া, আমি অন্যরকম পোশাক পরলেও দর্শকরা সবসময় বলে থাকেন, যে আমাকে শাড়িতেই ভালো লাগে। কিন্তু আমাকে কোনটায় ভালো লাগবে বা কোনটায় ভালো লাগবে না, সেটা অন্যরা ঠিক করে দেবেন এটা তো হতেই পারে না। আমার সিদ্ধান্তটা আমি নেব।
তবে আপনি মেগাতে যে কাজগুলো করেছেন সেইগুলো তো বেশ ভিন্ন স্বাদের…
বাসবদত্তা: হ্যাঁ, 'বয়েই গেল', 'মন নিয়ে কাছাকাছি', 'গানের ওপারে' এগুলোর জন্য দর্শকরা এখনও আমাকে ভালোবাসেন, পছন্দও করেন।
এই ধরনের কাজ আবার করে করতে ইচ্ছে করে না, বিশেষ করে লিড?
বাসবদত্তা: আমি লিডের অফার অনেক পাই, কিন্তু সময় দিতে পারি না। ওই ২৫-২৬ দিনের যে কনট্র্য়াক থাকে সেটা আমার পক্ষে একটু সমস্যার। কারণ মেগাতে লিড করলে আর অন্য জায়গায় কাজ করতে পারব না। আমাকে কেউ কোথাও বেঁধে দেবে সেটা আমার জন্য বেশ সমস্যার। কোনও একটা কাজ হয়তো আমার করতে খুব ইচ্ছে করছে, কিন্তু মেগার নির্মাতারা আমাকে ছাড়তে পারছেন না। কোথাও কাজ করতে গেলে এই যে চ্যানেলের, নির্মাতাদের অনুমতি নিতে হবে, সেটা আমি একদম পছন্দ করি না। তাই ফ্রি থাকা ভালো, আমি ফ্রিল্যান্স করছি, আমার যখন যেটা ইচ্ছা হবে করব। এক্ষেত্রে আমি আমার নিজের বস। আর তাছাড়া এখন বাড়িতে আমার সন্তান আছে, ফলে আমার মনে হয় বাড়িতেও সময় দেওয়াটা খুব দরকার।