একটা সময় শাহরুখের লিপে গান মানেই মিউজিক কম্পোজারদের প্রথম পছন্দ ছিলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্যে। আর ধীরে ধীরে সেই জায়গা নিয়েছেন অপর বাঙালি গায়ক, অরিজিৎ সিং। একের পর এক চার্টবাস্টার গান শ্রোতা-দর্শকদের উপহার দিয়ে চলেছে এই জুটি। ‘জালিমা’, ‘গেরুয়া’ থেকে শুরু করে চলতি বছরে ‘ঝুমে জো পাঠান’,'চলেয়া' কিংবা ডাঙ্কি-র ‘লুট পুট গায়া’ বা ‘ও মাহি’।
আরও পড়ুন-অরিজিতের গানে রোম্যান্সে বুঁদ শাহরুখ-নয়নতারা! প্রকাশ্যে জওয়ান-এর ‘চলেয়া’র ঝলক
লর্ড ববি-র ‘জামাল কুদু’তে উদ্দাম নাচ সূর্যর! এই ইরানি গানের অর্থ কী জানেন?
শাহরুখ-অরিজিতের যুগলবন্দি নিয়ে ভক্তদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। অথচ অরিজিৎ মনে করেন শাহরুখের লিপে তাঁর কন্ঠ মানানসই নয়, তাই শাহরুখের জন্য প্লে-ব্যাক করতে প্রচণ্ড মেহনত করতে হয়েছে তাঁকে।
এমনিতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বেজায় অনীহা অরিজিতের। এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তিনি। অথচ মিডিয়ার ক্যামেরা দেখলেই পালান! তাই অরিজিতের সাক্ষাৎকারের সংখ্যা হাতেগোনা। এবার অকপটে আড্ডা জুড়লেন ‘গেরুয়া’ গায়ক। সৌজন্যে ‘দ্য মিউজিক পডকাস্ট শো’।
এই শো-তে অরিজিৎ-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়, উঠতি গায়করা কীভাবে নিজেদের জার্নিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে? অরিজিৎ বলেন-'বিষয়টা কখনই ভয়েসের উপর নির্ভরশীর নয়, পুরোটাই গায়েকির উপর দাঁড়িয়ে। আমি নিজে গলাকে ভেঙে ভেঙে (ভয়েস) টেক্সচার তৈরি করেছি। যেমনভাবে ভাস্কর্য তৈরি হয়… ভাবুন তো আমার গলা কি কখনও শাহরুখের কন্ঠে মানায়'।
এরপর অরিজিৎ বলেন, রাতে অতিরিক্ত রেওয়াজ করার পর কন্ঠস্বর বসে যায়, এরপর আপনি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তাতেই তৈরি হয় সমস্যা। সকালে রেকর্ডিং-এ গেলে ‘ব্যারিটোন খুল যাতা হ্যায়’। আজকাল সকলকেই যায় অরিজিৎ সিং হতে। এই প্রসঙ্গে, আশিকি ২ খ্যাত গায়ক বলেন- ‘হ্যাঁ, যেমন আমরা সবাই সোনু নিগম হতে চাইতাম’। প্রকাশ্যে সোনুর প্রতি ভালোবাসা এর আগেও জাহির করেছেন অরিজিৎ।
এরপরই মায়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগী অরিজিৎ। কোভিডকালে মা-কে হারিয়েছেন তিনি। গায়ক জানালেন, মা-ই তাঁর সঙ্গীতের প্রথম শিক্ষাগুরু। সরগমের শিক্ষা হোক বা প্রাথমিক তামিল, মা-ই শিখিয়েছিলেন তাঁকে। অরিজিতের জীবন জুড়ে রয়েছে সঙ্গীত। সেই প্রসঙ্গে তিনি বললেন- ‘কেউ হর্ন বাজালে আমি রে শুনতে পাই, আবার বেল বাজালে নি কানে বাজে’।
অরিজিৎ ভক্তরা দারুণ উত্তেজিত গায়কের এই সাক্ষাৎকার নিয়ে। ১৪ তারিখ সম্পূর্ণ পডকাস্টটি সামনে আসবে।