বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Angana Roy Exclusive: ‘পুজো মোটামুটি একসঙ্গেই কাটবে! অষ্টমীতেও…’, রোহনের সঙ্গে কী প্ল্যান, জানালেন অঙ্গনা

Angana Roy Exclusive: ‘পুজো মোটামুটি একসঙ্গেই কাটবে! অষ্টমীতেও…’, রোহনের সঙ্গে কী প্ল্যান, জানালেন অঙ্গনা

রোহনের সঙ্গে পুজো প্ল্যান শেয়ার করলেন অঙ্গনা।

পুজোর সময় এলেই অতীতে ফিরে যান অঙ্গনা রায়। হাতড়ে দেখেন দিদা-দাদুর সঙ্গে কাটানো একগুচ্ছ সুন্দর মুহূর্ত। সম্প্রতি তাঁর জীবনে এসেছেন বিশেষ মানুষও। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কতটা রঙিন হবে তাঁর এবারের পুজো? রোহন ভট্টাচার্যের দেবেন কি অষ্টমীর অঞ্জলি? সব নিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার সঙ্গে অকপট আড্ডায় অঙ্গনা।

সিরিজ থেকে সিনেমা, ছোটপর্দা সবটা নিয়ে ব্যস্ত তিনি। নিজের জন্য ফুরসত মেলে না বললেই চলে। তবে পুজোর সময় এলেই অতীতে ফিরে যান অঙ্গনা রায়। হাতড়ে দেখেন দিদা-দাদুর সঙ্গে কাটানো একগুচ্ছ সুন্দর মুহূর্ত, আর মায়ের হাত ধরে নতুন জামা কিনতে যাওয়ার স্মৃতি। সম্প্রতি তাঁর জীবনে এসেছেন বিশেষ মানুষও। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কতটা রঙিন হবে তাঁর এবারের পুজো? রোহন ভট্টাচার্যের সঙ্গে সারবেন কি অষ্টমীর অঞ্জলি? সবটা নিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার সঙ্গে অকপট আড্ডায় ধরা দিলেন অঙ্গনা।

কেমন আছেন? শরীর আগের থেকে সুস্থ এখন?

অঙ্গনা: হ্যাঁ, আগের থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ। এখন আর ওষুধ চলছে না। তাছাড়া সামনে পুজো আসছে। সবটা মিলিয়ে বেশ ভালোই আছি।

কেনাকাটা সব হয়ে গিয়েছে? আর তো বেশি দিন বাকি নেই…

অঙ্গনা: না, এখন আর পুজোয় নিজের জন্য আলাদা করে খুব একটা কেনাকাটা করা হয় না। এমনই তো সারা বছর কিছু না কিছু নতুন কিনতেই হয়। তাই পুজোয় যদি মনে হয় একটা-দুটো শাড়ি কিনি। এখন মূলত বাবা, মা আর দাদুকে নতুন পোশাক কিনেদি। এটার মধ্যে একটা অন্য আনন্দ থাকে। নতুন পোশাক সেভাবে আরও না কেনার একটা কারণ হল দিদা। সেই মানুষটা চলে যাওয়ার পর থেকে আমার আর খুব একটা নতুন জামা কিনতে ইচ্ছা করে না। হয়তো এই একটা জায়গায় আমার মধ্যে বদলটা খুব বেশি করে এসেছে। ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি মানেই আমার কাছে দিদা।

ছোটবেলায় দিদার সঙ্গে কেমন কাটাত পুজো?

অঙ্গনা: আমার দিদা দেবী দুর্গার খুব ভক্ত ছিলেন। ওঁর থেকে আমার মধ্যেও সেই বিষয়টা এসেছে। ছেলেবেলায় আমি কলকাতায় থাকতাম না। তখন পুজোর ছুটি মানেই দাদু-দিদার বাড়ি, আসানসোল। আসলে আমি ওখানেই জন্মেছি। আমার ছোটবেলার বেশির ভাগ ভালো স্মৃতি আসানসোলে। পুজোর দিনগুলোতে দাদুর হাত ধরে আসানসোলের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতাম, আলো দেখতাম। দিদার সঙ্গে ওখানের বড়বাজারে অনেক সময় জামা কিনতে যেতাম। ক্লাস এইটে যখন পড়ি তখন মনে হয় কলকাতার পুজো প্রথম দেখেছি। ওখানে এতটা আনন্দ হত যে, কলকাতার পুজোর জন্য সেরকম টান কখনও অনুভবই করতাম না। তারপর দিদা ছেড়ে চলে গেলেন, প্রায় আট বছর হতে চলল। তাই এখন আমার দায়িত্ব দাদুকে ঠাকুর দেখানো।

তাহলে এবছরও কি পুজোয় আসানসোলেই থাকবেন?

অঙ্গনা: না, আসলে পুজোর বেশ কিছু কাজ আছে তো। কিছু উদ্বোধন রয়েছে, তাছাড়াও পুজো পরিক্রমা রয়েছে। তাই কলকাতাতেই থাকব। তবে দাদু এখানে এসেছেন। আগেরবার তো মা দাদুকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন পুজোর ক'টা দিন। কিন্তু এবার বাবা-মা থাকছেন না। দাদু আমার সঙ্গে থাকবেন। এ বছর দাদুকে নিয়ে ঘোরার দায়িত্ব আমার। দাদুর ৯০ বছর বয়স, তাই তিনি হয়তো প্যান্ডেলে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে পারবেন না। কিন্তু এই সময় শহরটা যেভাবে আলোয় সেজে ওঠে সেটা দেখতে দাদু খুব পছন্দ করেন। সেটাই আমরা দাদু-নাতনি মিলে একসঙ্গে ঘুরে দেখব।

আর বন্ধু-বান্ধব…

অঙ্গনা: হ্যাঁ, ওঁদের সঙ্গেও আড্ডা দেব। সবাই তো কলকাতায় থাকেন না। পুজোর ছুটিতে ক'টা দিনের জন্য ফেরে। এই সময় ওঁদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, ফুচকা খাওয়া এইসব করি।

ফুচকা! অভিনেত্রীদের তো কঠোর ডায়েটের মধ্যে থাকতে হয়…

অঙ্গনা: তা হয় ঠিকই। কিন্তু পুজোর সময় একটু খাওয়া-দাওয়া তো হবেই। যেমন আমার একটা দিন ঠিক করা থাকে। সেই দিন আমি বন্ধুদের সঙ্গে যোধপুর পার্কের সামনে অথবা ঢাকুরিয়ায় দক্ষিণাপনের সামনে যে ফুচকা বসে, সেখানে গিয়ে ফুচকা খাবই। ওই দিনটায় আমি সব খায়। যদি কেউ ট্রিট দেয়, কিংবা বিরিয়ানি খাওয়ায় অবশ্যই খাই। তাছাড়াও পুজোয় অষ্টমীর ভোগ তো খেতেই হবে। সেটা ছাড়া পুজো সম্পূর্ণ হয় না।

আরও পড়ুন: মুখ খুলে মমতাকে ‘অসম্মান’ করতে চান না, উৎসব-বিতর্কে তাই নীরবতা বজায় রাখলেন সোহম

আর অষ্টমীর অঞ্জলি কার সঙ্গে দেওয়া হয়?

অঙ্গনা: ছোটবেলায় তো মা-বাবার সঙ্গেই দিতাম। যখন কলকাতায় থাকতাম পুজোয় আমাদের কমপ্লেক্সে অঞ্জলি দিতে যেতাম।

বাবা-মায়ের সঙ্গে পুজোর দিনগুলো কেমন ছিল?

অঙ্গনা: মা-বাবার সঙ্গে পুজোয় ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখিনি ওভাবে। তবে পুজোর আগে মায়ের সঙ্গে দক্ষিণাপনে নতুন জামা কিনতে যেতাম। আর তাছাড়া আমাদের কমপ্লেক্সে পুজোর সময় অনুষ্ঠান হত, সেখানেই বাবা-মায়ের সঙ্গে যেতাম। কলকাতায় মূলত স্কুল-কলেজের বন্ধুদের সঙ্গেই ঘুরেছি। তবে সেটাও কলেজের সময় থেকে।

বাড়ি থেকে কি ছাড়তো না?

অঙ্গনা: হ্যাঁ, বাড়ি থেকে ছাড়ার ক্ষেত্রে তো একটা চাপ ছিলই। সেক্ষেত্রে একটা টাইমও বেঁধে দেওয়া হত। যে দশটার মধ্যে মোটামুটি ঢুকে যেতে হবে। কিন্তু সেই সময় বন্ধুদের ছেড়ে আসতেও ইচ্ছে করত না। তাই অনেক সময় বলতাম রাস্তায় খুব ভিড়, যেতে আরও একটু সময় লাগবে। মানে যতটা সামাল দেওয়া যায়। আমাকে কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের আগে পর্যন্ত সেভাবে ছাড়া হত না।

আরও পড়ুন: শেষ কবে দুর্গাপুজো আসছে বলে আনন্দ করেছি, ভুলে গেছি', কেন মন খারাপ দেবশ্রীর?

কিন্তু শুধুই কি বন্ধু? পুজো মানে তো প্রেমও, বিশেষ মানুষের হাত ধরে ঠাকুর দেখা হত?

অঙ্গনা: এই একটা বিষয়টার সঙ্গে আমি খুব একটা রিলেট করতে পারব না। আমার জীবনে ‘পুজো প্রেম’ ব্যাপারটা আসেনি। আমার কখনও আলাদা করে মনেও হয়নি যে পুজোয় ঘোরার জন্য একজন বিশেষ মানুষের প্রয়োজন। আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবকে দেখতাম, পুজোয় বিশেষ মানুষ খুঁজতো ঠাকুর দেখতে যাবে বলে। কিন্তু আমার জীবনে যত প্রেম এসেছে তা সব বছরের শুরু দিকেই। পুজোয় তাঁর সঙ্গে হয়তো ঘুরেছি। কিন্তু পুজো প্রেম বলে আলাদা করে কিছু হয়নি।

কিন্তু এখন তো জীবনে বিশেষ মানুষ…তাঁকে নিয়ে কী বলবেন?

অঙ্গনা: হ্যাঁ, সে সত্যি খুব বিশেষ আমার জীবনে। আসলে প্রেম, ভালবাসা থেকেও আমার কাছে বড় কথা হল কম্পেনিয়ানশিপ, পাশে থাকা সব পরিস্থিতিতে। আর রোহন (রোহন ভট্টাচার্য) আমার জীবনে খুবই বিশেষ একজন মানুষ। রোহন এতটাই ভালো মানুষ যে আমি কখনওই চাইবো না যে আমার জীবন থেকে ও সরে যাক। আমরা দুজনে খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুও।

এবার কি অষ্টমীর অঞ্জলি রোহন ভট্টাচার্যের সঙ্গেই দেবেন?

অঙ্গনা: পুজোর সময়টা একসঙ্গে কাটানোর ইচ্ছে তো আছেই। কিন্তু খুব কাকতালীয় ভাবে আমার দু'জন একসঙ্গে বেশ কয়েকটা ইভেন্টের নিমন্ত্রিত। অষ্টমীতেও এরকম একটা ইভেন্ট রয়েছে। ফলে সবটা মিলিয়ে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করা হবে পুজোতে, মোটামুটি আমাদের পুজোটা একসঙ্গেই কাটবে।

কিন্তু এবার তো শহরের পরিস্থিতি বেশ উত্তাল…

অঙ্গনা: একেবারেই, তার জন্য অনেকখানি মন খারাপ রয়েছে। মানসিকভাবে একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। যা হয়েছে তা কাম্য নয়। কিন্তু অনেকে এই কারণে বলেছিলেন যে, পুজো হওয়া উচিত নয়। সেই কথাটাকে আমি সমর্থন করি না। কারণ পুজোর সঙ্গে বহু মানুষের রুজি-রুটি জড়িয়ে রয়েছে। একটু অতিরিক্ত আয়ের আশায় সারা বছরে এই দিনগুলোর দিকে চেয়ে বসে থাকেন তাঁরা। আমাদের অধিকার নেই ওঁদের সেই আয়ের পথ বন্ধ করে দেওয়ার। আন্দোলন আন্দোলনের মতো চলবে, সুবিচার চাই। 

তারকাদেরও তো এই সময়ে অনেকটাই আয়ের জায়গা থাকে…

অঙ্গনা: হ্যাঁ, তা থাকে বটে। তারকাদের অবশ্যই এই সময়টা একটু বাড়তি উপার্জনের জায়গা তৈরি হয়। কিন্তু আমাদের তো উপার্জনের প্রধান মাধ্যম অভিনয়, সেটা তো রয়েছে। তাই কিছুটা হলেও আমরা আমাদের জীবনযাপনের রসদ যোগাড় করে নিতে পারি। কিন্তু পুজোর সঙ্গে, উৎসবের সঙ্গে বহু প্রান্তিক মানুষের আয় জড়িয়ে রয়েছে। 

তাহলে আপনি ‘উৎসবে ফেরা’কে সমর্থন করছেন?

অঙ্গনা: উৎসবে ফেরা বা না ফেরা একটা মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়। যদি কেউ উৎসবে থাকতে চান তাহলে তাঁকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করানো উচিত নয়। তবে আমি সেই বিতর্কে না গিয়ে বলতে চাই, আমার মতে, প্রান্তিক এই মানুষগুলোর জন্য পুজোটা হওয়া প্রয়োজন।

 

 

বায়োস্কোপ খবর

Latest News

Latest entertainment News in Bangla

দাদু রাজ কাপুরের শৈশব কেটেছে এই শহরেই, ঠিক কী কারণে ফের কলকাতায় হাজির করিশ্মা? ডিভোর্স হয় ২ মাস আগেই, প্রয়াত 'ভাবিজি ঘর পর হ্যায়' অভিনেত্রী শুভাঙ্গীর স্বামী ‘বাড়িতে বউ অন্তঃসত্ত্বা,আর জাহ্নবীর স্কুটিতে চড়ে ঘুরছেন সিদ্ধার্থ?’কোথায় চললেন বক্স অফিসে ১০০কোটির দোরগোড়ায় সানির 'জাট', মন্দ ব্যাটিং করছে না কেশরী-২, আয় কত? বক্স অফিসে ৬০০ কোটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়ল ছাবা! বলিউডের শীর্ষ ১০ তালিকায় কোথায়? সম্পর্কের গল্পে মুখোমুখি বিশ্বনাথ-ভাস্বর! আসছে নতুন ছবি 'অসহ্য' শাহরুখের পর এবার বাড়ি ছাড়লেন আমিরও, মুম্বইয়ের বান্দ্রা কি তাহলে নিরাপদ নয়? বক্স অফিসে ১ কোটি ছুঁইছুঁই পুরাতনের, ১০ দিনে কিলবিল সোসাইটির আয় কত হল? ফের বড় পর্দায় ‘পিকু’! দীপিকা নন, পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন কোন অভিনেত্রী? তদন্ত প্রায় শেষ, তবে কি এবার পাসপোর্ট ফেরত পাবেন রণবীর?

IPL 2025 News in Bangla

রাহুল দ্রাবিড়ের রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ! উঠছে তদন্তের দাবি আরও ১০ রান যোগ হতে পারত… KKR-র বিরুদ্ধে জিতেও কি খুশি নন GT অধিনায়ক শুভমন গিল? ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন… কেন অংকৃষ ৯ নম্বরে? জানালেন KKR মেন্টর ব্র্যাভো কাদের দোষে ম্যাচ হারল KKR? হারের দায় কাদের উপর দিলেন ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে? IPL-এ KKR বধ করে প্লে অফের আরও কাছে গুজরাট! খাদের কিনারায় নাইট রাইডার্স কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে! ইডেনে বাটলারের জলভাত ক্যাচ ছেড়ে চার রান দিলেন বৈভব তোমার ব্যাট দিয়েই অনেক রান করেছি! উপহার পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বিরাটকে বললেন মুশির সামনে বিয়ে নাকি? ইডেনে মরিসনের প্রশ্নে লজ্জায় লাল শুভমন গিল, কী জবাব দিলেন? গম্ভীরের দয়ায় অযোগ্য হয়েও BCCI-র কেন্দ্রীয় চুক্তি তালিকায় হর্ষিত? জানুন আসল সত্য ‘আপনারা সবাই খুব…’! IPL-এর মাঠে রাঘবকে ‘জিজু’ বলে ডাক, কী প্রতিক্রিয়া পরিনীতির

Copyright © 2025 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.