মামারবাড়ি বলে কথা। বীরভূমের কুসুম্বা গ্রাম। তবে নানা চেষ্টা সত্ত্বেও খোদ নেত্রীর মামার বাড়ির গ্রামে লিড পায় না তৃণমূল। এনিয়ে ঘাসফুল শিবিরের একাধিক নেতার মন ভালো নেই। কিছুতেই ওই গ্রামে মানুষের মন পায় না তৃণমূল। কেন এমন হয়? এমনকী বীরভূমে যখন বেতাজ বাদশা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল তখনও এই গ্রামে সেভাবে এগোতে পারত না ঘাসফুল শিবির। এটি নিঃসন্দেহে ঘাসফুলের কাছে অস্বস্তির।
এদিকে বীরভূম যে তৃণমূল নেত্রীর মামার বাড়ির জেলা সেটা বার বারই সামনে এসেছে। খোদ নেত্রীও একাধিকবার প্রশাসনিক ভোটে এনিয়ে উল্লেখ করেছেন। এদিকে সূত্রের খবর, কুসুম্বা গ্রাম খোদ নেত্রীর মামার বাড়ির গ্রাম হওয়ার জন্য় এই গ্রামের উন্নতির জন্য় চেষ্টার কোনও কসুর করে না তৃণমূল। সব সময় খোঁজখবরও নেয় তারা। কিন্তু কোনও একটা অদৃশ্য কারণে সবসময় এই গ্রাম যেন মুখ ফিরিয়ে থাকে ঘাসফুলের দিক থেকে।
তবে সবথেকে বড় কথা হল এই কুসুম্বা গ্রামে বিজেপি গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনটির মধ্য়ে দুটি আসনে জিতেছিল। এমনকী মুখ্য়মন্ত্রীর মামাতো ভাই পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও পরাজিত হয়েছিলেন। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের আগে নবজোয়ার কর্মসূচি বের করেছিল তৃণমূল। সেই কর্মসূচিতে হাজির হয়ে কুসুম্বা গ্রামে গিয়েছিলেন অভিষেক। দাদুর বাড়িতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর যে কোথায় কী হয়ে গেল কে জানে!
ফলাফল বের হতেই দেখা গেল একের পর এক আসনে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। কার্যত মর্যাদার লড়াইতে হেরে যায় তৃণমূল।
তবে শুধু পঞ্চায়েত ভোটেই নয়, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও কুসুম্বা গ্রামে বিজেপির কাছে হেরে যায় তৃণমূল। গোটা বীরভূমে তৃণমূল জয়ী হলেও নেত্রীর মামার বাড়ির গ্রামে গিয়ে সব ওলটপালট হয়ে যায়। হিসেব মেলে না।
কেন এমন হয় তা নিয়ে বহু কাটাছেঁড়া করেছে টিএমসি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ব্য়াখা মেলে না। দলের দ্বন্দ্বের কথাও শোনা যায়। কিন্তু সেটা কতটা হারের পেছনে রয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে সেই দ্বন্দ্ব, ঘরোয়া কোন্দল মেটানো কতটা সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে ইতিমধ্য়েই দলীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে এই গ্রামে এবার লিড পেতেই হবে। কার্যত মাটি কামড়ে লড়াই চলছে। কিন্তু গলার কাছে কাঁটাটা যেন আটকেই আছে।