তিনি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। একটা সময় তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। চাকরিপ্রার্থীদের কাছে তিনিই ছিলেন ভগবান। আর সেই প্রাক্তন বিচারপতি এবার তমলুকে ভোটে লড়ার জন্য় বিজেপির টিকিট পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য। তবে ব্য়াপারটা এখানেই শেষ নয়।
এবার ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দিল আইএসএফ। তিনি হলেন মাহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মাহি। আদপে তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। শিক্ষকপদের চাকরিপ্রার্থী তিনি। ২০১৬ সালে তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে স্থগিতাদেশ এসেছিল। আর সেই মামলাকারী ছিলেন এই মাহি। তাকেই সেই প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিল আইএসএফ।
তবে এখানে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য় এই কৌশল নিল আইএসএফ? তবে ভোটকাটাকুটির জেরে কার কতটা সুবিধা হবে তা নিয়েই এবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আনন্দবাাজার অনলাইনে মুখ খুলেছেন মাহি। তিনি জানিয়েছেন, বঞ্চিতদের কথা তুলে ধরতেই সংসদীয় রাজনীতিতে আসা। তবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করা কি নেহাতই কাকতালীয় নাকি জেনে বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসএফ? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই সংবাদমাধ্যমে মাহি জানিয়েছেন, আইনি দোহাই দিয়ে আমাদের নিয়োগ আটকে রয়েছে। অনেকে আমাদের ব্যবহারও করেছেন। আর তমলুকে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের কথা তুলে ধরার মতো পরিবেশ ওই কেন্দ্রে রয়েছে। ওখানে চোর, বিচারপতি থেকে আইনজীবী সবাই রয়েছেন।