আজ, শনিবার সকাল থেকে গ্রামবাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরুতেই অশান্তির খবর আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরুতেই বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বোমাবাজি, গুলি থেকে শুরু করে খুন করার অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে। আজ সকাল থেকে বিরোধীরা অশান্তি পাকাতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ এবং খড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শনিবার সকালেই মালদার মানিকচকে বোমা–গুলি করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অশান্তির আবহ নিয়ে টুইট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি–কংগ্রেস। তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার রায় দেয় আদালত। সেখানে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বেলডাঙা দু’নম্বর ব্লকের রেজিনগর থানার নাজিরপুরে ইয়াসিন শেখ নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাম–কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ এবং খড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের খুন করার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট পর্যন্ত করা হয়েছে।
ঠিক কী লেখা হয়েছে টুইটে? বারাসাতে নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। আবার খড়গ্রামে খুন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এই পরিস্থিতিতে টুইট করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দুষল তৃণমূল কংগ্রেস। এই টুইটে লেখা হয়েছে, ‘শিউরে ওঠার মতো একের পর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে শকওয়েভ কাজ করছে। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ, খড়গ্রামে তিনজন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। ডোমকলে গুলিতে দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছেন।’ এই পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে হামলা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে
আরও পড়ুন: বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন কোচবিহারে, মালদায় হত্যা তৃণমূল কর্মীকে, তপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন
আর কী লেখা হয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল, রাজ্য পুলিশ এবং প্রয়োজনে ভিন রাজ্যের পুলিশ নিয়ে এসে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা হবে। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে। তারপরও মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। খুনের ঘটনা ঘটছে। তার প্রেক্ষিতে টুইটে লিখেছে তৃণমূল কংগ্রেস, ‘যখন প্রয়োজন তখন কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? মানুষের নিরাপত্তা দিতে পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতার দিকে তা ইঙ্গিত করছে।’ এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা চাই পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক। তাই সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। এখন তারা কোথায়? তাদের দেখা মিলছে না। আর বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস হাতে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাস করছে। কোথাও কোথাও আইএসএফ’ও গণ্ডগোল করছে।’