বিধাননগর পুরসভার নির্বাচন এখনও শেষ হয়নি। যার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত এখনই জানিয়ে দিলেন জয়ের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। গত ৬ বারের মতোই এবারও জয়ের হাসি হাসবেন তিনি বলে মনে করছেন। এমনকী জয়ের পর সেই শংসাপত্র তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের কাছে রাখতে চান বলে জানালেন। যেখানে আজ প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানা অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাস–ছাপ্পা ভোটের মধ্যে দিয়েই গেল দিনটা।শনিবার সকালে ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। আর সেখানে হালকা মেজাজেই ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্তকে। বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ও তো এই ওয়ার্ডের ভোটার। তাই নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। প্রায় ১০–১৫ বছর পৌর প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাই ন্যূনতম বুদ্ধি থাকা উচিত। যাকে দিয়ে বহিরাগত বলে ডাকছেন সে এই ওয়ার্ডের ভোটার। অন্তত এটার দেখা পর ওই ভোটটা দেবাশিস পাবে না এটা নিশ্চিত। আমার এখন একটাই লক্ষ্য ১৪ তারিখের ফলাফল। গণদেবতার জয়ের আর্শীবাদ সার্টিফিকেট নিয়ে নেত্রীর পায়ে দিয়ে আসব।’ সকাল থেকেই ছাপ্পা–সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী। শমীক ভট্টাচার্যও ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। এই বিষয়ে সব্যসাচী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরও আমি হেরেছি। তারপরেও ২১৩টা আসন তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে। এবার আমার মনে হয় এফবিআই নিয়ে আসুক।’উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরসভার নির্বাচনে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে পুলিশকর্তা জ্ঞানবন্ত সিংকে। এই নির্বাচনের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন সব্যসাচী দত্তকে। তাই এবার জয়ী হযে সেই শংসাপত্র নেত্রীর পায়ে রাখতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ তিনি ফুরফুরে মেজাজে নিজের ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়ান।