একজন ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের জন্মদিনে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে মাঠে নামেন। অন্যজন ভারতের প্রথম একাদশে কামব্যাক করেন পিচ ও পরিস্থিতি স্পিনারদের অনুকূল না হওয়ায় অশ্বিনকে ভারত বসিয়ে দেওয়ায়।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের বাইশগজ কতটা ব্যাটসম্যানদের অনুকূল, সেটা বোঝা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপের ম্যাচটির দিকে তাকালেই। সেই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ওঠে রেকর্ড ৭৫৪ রান। সেই কারণেই কোটলায় ভারতের বিরুদ্ধে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান।
এমন পিচে বোলারদের চার-ছক্কা হজম করা নিতান্ত স্বাভাবিক বিষয়, তবে উইকেট নেওয়া নিতান্ত কঠিন। বার্থডে-বয় হার্দিক পান্ডিয়াকে সেই কঠিন কাজটাই করতে সাহায্য করেন অশ্বিনের বদলে দলে ঢোকা শার্দুল ঠাকুর। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে হার্দিকের বলে বাউন্ডারি লাইনে আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন ঠাকুর।
১২.৪ ওভারে হার্দিকের শর্ট বলে জোরালো পুল শট খেলার চেষ্টা করেন রহমানউল্লাহ। বল ব্যাটে কানেক্টও হয়। তবে বল শরীরের খুব কাছে থাকায় শটে পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চার করা সম্ভব হয়নি গুরবাজের পক্ষে। তা সত্ত্বেও বল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে যাচ্ছিল। বাধ সাধেন শার্দুল। তিনি ক্যাচ ধরে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে বুঝেই বল হাওয়ায় বাসিয়ে দেন এবং নিজে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যান। পুনরায় বাউন্ডারির ভিতরে ঢুকে ফের ক্যাচ ধরেন ঠাকুর। গুরবাজকে ব্যক্তিগত ২১ রানে সাজঘরে ফিরতে হয়। হার্দিককে কার্যত এভাবেই জন্মদিনের উপহার দেন শার্দুল।
হার্দিক পরে হাফ-সেঞ্চুরিকারী আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের উইকেটটিও তুলে নেন। ইনিংসের ৩৪.২ ওভারে হার্দিকের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন আজমত। হার্দিক শেষমেশ ৭ ওভার বল করে ৪৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন।
আফগানিস্তান শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৭২ রান তোলে। ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬৯ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন আজমত। ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮৮ বলে ৮০ রান করে মাঠ ছাড়েন হাশমত। এছাড়া ইব্রাহিম জাদরান ২২, মহম্মদ নবি ১৯, রহমত শাহ ১৬, রশিদ খান ১৬ ও মুজিব উর রহমান ১০ রান করেন। জসপ্রীত বুমরাহ ১০ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন।