২০২৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকার শীর্ষ-৩ রয়েছেন ভারতের একমাত্র ফাস্ট বোলার জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি নিজের পারফরমেন্স ও উইকেট শিকার করার দক্ষতা দিয়ে সকলের নজর কাড়ছেন ও ভক্তদের প্রিয় হয়ে উঠেছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে, বুমরাহ নতুন এবং পুরানো উভয় বলই সুইং করাচ্ছেন এবং এখনও পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার অপরাজেয় অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জসপ্রীত বুমরাহ ১৪ উইকেট নিয়েছেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি মাত্র ৩.৯১ ইকোনমি রেটে রান খরচ করেছেন। জসপ্রীত বুমরাহ যেভাবে বোলিং করছেন তা দেখে মনে হচ্ছে তার বল খেলা খুবই কঠিন।
২৯ অক্টোবর ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে বিশ্বকাপ ২০২৩ এর ম্যাচে, বুমরাহ ৬.৫ ওভারে ৩২ রান খরচ করে তিনটি উইকেট শিকার করেছিলেন। পরপর দুই বলে ডেভিড মালান ও জো রুটকে আউট করে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। পাকিস্তানের একটি স্পোর্টস শোতে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কেন পাকিস্তানি পেসাররা বুমরাহর মতো বল করতে পারছেন না কেন? এর উত্তরটি দিয়েছিলেন প্রাক্তন ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আক্রম।
পাকিস্তানের এ স্পোর্টস চ্যানেলকে একজন নেটিজেন জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন পাকিস্তানি বোলাররা জসপ্রীত বুমরাহর মতো বল করতে পারছেন না? তাদের কি দক্ষতার অভাব আছে বা তাদের গতি বেশি নাকি তাদের ফোকাস অন্য কোথাও রয়েছে? এর জবাব নিতে চ্যানেলের অ্যাঙ্কার প্রশ্নটিকে ওয়াসিম আক্রমের দিকে ঠেলে দেন। যার জবাবে প্রাক্তন পেসার বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন। সম্ভবত বুমরাহ বিশ্বে তার ধরণের একমাত্র বোলার, শুধু পাকিস্তানই নয় বিশ্বের অন্য কোনও দলে তার মতো বোলার নেই। আমাদের বোলাররা কম লম্বা ক্রিকেট খেলে। বুমরাহ টেস্ট ক্রিকেটও খেলেন।’
আক্রম আরও বলেন, ‘সে চোট কাটিয়ে ওডিআই ক্রিকেট খেলছে, তবে টেস্ট ক্রিকেটও খেলে এবং তাতেও সমানভাবে সফল। টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচটি করে উইকেট না নিলে আপনি ব্যাটসম্যানকে ফক্স আউট করতে পারবেন না। পাকিস্তানের বোলারদের দৈর্ঘ্যও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
আক্রমের কথা শেষ হতেই প্রাক্তন পাকিস্তান উইকেটরক্ষক মইন খান এই বিষয়ে আরও বলেন, ‘আর একটি জিনিস আমি যোগ করতে চাই, তা হল তার বোলিং অ্যাকশন আলাদা।’ আক্রম আবারও বললেন, ‘অ্যাকশন দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণ করা, বাইরে, ভিতরে, পেস, ইয়র্কার, বাউন্সার, এটাই সম্পূর্ণ প্যাকেজ।’ রবিবারের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ২২৯ রান করেছিল ভারত। কিন্তু জবাবে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডকে ১২৯ রানে অলআউট করে দেয় এবং এদিনের ম্যাচটি ১০০ রানে জিতে নেয়।