নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে হার ভারতের। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলডাউন হয়ে যায় ভারত। রবিবার ম্যাচ শেষে রোহিত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাট করেছিলাম। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হই। তাই আমরা জানতাম সামনে কী অপেক্ষা করছে। দু’জন মাত্র ডবল ডিজিট রান করতে পেরেছিল। ৩৫০ রানে পিছিয়ে থাকলে তখন আপনার ব্যাট-বল দেখা ছাড়া খুব বেশি কিছু করার থাকে না’। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে শতরান করেছিলেন সরফরাজ খান (১৫০) এবং একটুর জন্য নিজের সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন ঋষভ পন্ত(৯৯)। এই দুই ব্যাটসম্যানের ১৭৭ রানের পার্টনারশিপ ভারতীয় দলে আশার আলো দেখিয়েছিল।
রোহিত শর্মা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু পার্টনারশিপ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। নইলে আমরা অল্প রানেই অলডাউন হয়ে যেতে পারতাম, আমাদের তাদের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। সবাই আশার আলো খুঁজে পেয়েছিল যখন এই দুই ব্যাটসম্যান ব্যাট করছিল। ঋষভ কয়েকটি বল দেখার পর শট খেলা শুরু করে। সরফরাজও নিজের পরিপক্কতা দেখিয়েছে’। অধিনায়ক হিসেবে রোহিত আগেই প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় নিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর পিচ বুঝতে ভুল হয়েছে। এদিনও একই কথা বলেন তিনি। রোহিত বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম আমাদের পক্ষে এই ম্যাচ কঠিন হবে। তবে ৪৬ রানে অলডাউন হয়ে যাব এটা আশা করিনি। নিউজিল্যান্ড ভালো বল করেছে এবং আমরা তাদের ঠিক ভাবে প্রত্যুত্তর দিয়ে উঠতে পারিনি’।
রোহিত মনে করেন ক্রিকেটে এটা হওয়া স্বাভাবিক। তিনি পরের ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন, একই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হারের পর ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের কথা। তিনি বলেন, ‘খেলায় এমনটা হতেই পারে। আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজেও প্রথম টেস্ট হেরে শুরু করেছিলাম। তারপর বাকি ৪ ম্যাচ জয় করি। আমরা প্রত্যেকেই জানি আমাদের কী করতে হবে’। প্রসঙ্গত, সরফরাজ এবং ঋষভ আউট হয়ে যাওয়ার পর ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬২ রানে অলডাউন হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য মাত্র ১০৭ রানের প্রয়োজন ছিল। হাতে সময় ছিল ১ দিন। পঞ্চম দিনের শুরুতে কোনও রকম চাপ ছাড়াই সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে কিউয়িরা।