রঞ্জি ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলার জন্য মুখোমুখি হয়েছে রেলওয়েজ এবং দিল্লি। এই ম্যাচটি একটু বিশেষও। কারণ ১২ বছর পর রঞ্জি ট্রফি খেলতে নেমেছেন বিরাট কোহলি। তাঁকে ঘিরে চরম উন্মাদনা রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। তবে জানেন কী প্রথম দিনের লাঞ্চে কি খেলেন বিরাট? সাধারণত ফিট থাকতে কঠোর ডায়েট মেনে চলেন বিরাট। নির্দিষ্ট খাবার, নির্দিষ্ট পরিমাণে খেয়ে থাকেন। তবে এত দিন পর দিল্লিতে ফিরে নস্টালজিক এই ৩৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার। ফিরে গিয়েছেন সেই পুরোনো ঘরোয়া ক্রিকেটের দিনগুলিতে। যেখানে তিনি অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের ক্যান্টিন থেকে লাঞ্চে চিলি চিকেন খেতে ভালোবাসতেন। এতদিন পর রঞ্জিতে ফিরে আবার সেই স্বাদ চেখে দেখলেন বিরাট। তবে চিকেন নয়, এবার পেট পুজো করলেন চিলি পনির দিয়ে।
২০১৮ সাল থেকে আমিষ খাওয়া ছেড়ে দেন বিরাট। এখন পুরোপুরি ভাবে নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন তিনি। সেই কারণেই চিলি চিকেন বদলে চিলি পনির হয়েছে। দিল্লির শেফ সঞ্জয় ঝা, যিনি বিরাটকে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রথম লগ্ন থেকে চেনেন, তিনি জানান বিরাট কতটা সাধারণ ভাবে থাকেন সকলের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এত বড় নাম হওয়া সত্ত্বেও সব সময় সকলের সঙ্গে মিশে থাকেন বিরাট।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন, ‘আমি একটা ক্যান্টিন চালাই প্রায় ২৫ বছর ধরে এবং বিরাটকে তার ছেলেবেলার থেকে চিনি। ও আমার ক্যান্টিন থেকে খাবার খেত। সে এখান থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিল এবং ওর মধ্যে কখনও কোনও অহংকার ছিল না। এমনকি আজকের দিনেও সে ততটাই বিনয়ী। ও এখনও একই ভাবে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো আমাদের সঙ্গে এবং ওয়েটারদের সঙ্গে কথা বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ও চিলি চিকেন খেতে ভালোবাসত। শুধু ও নিজে খেত এমন নয়, দলের সতীর্থদেরও খাওয়ার জন্য উৎসাহ দিত। এখন হয়তো ছোলে ভাটুরে বা কারি চাওয়াল খেতে ভালোবাসে। একবার আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, তার জন্য বাইরে থেকে খাওয়ার আনিয়ে দেব নাকি। কিন্তু ও বললো আমার ক্যান্টিন থেকেই খাবার নেবে।’ উল্লেখ্য, প্রায় ১২ বছর পর রঞ্জিতে ব্যাট হাতে দেখা যাবে বিরাট কোহলিকে। শেষবার ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে গাজিয়াবাদে ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। সেখানে প্রথম ইনিংসে ১৪ রান করেছিলেন বিরাট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৪৩ রান।