মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। বিরাট কোহলি এবার প্রথমবার নিজের অবসর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। যুবরাজ সিংয়ের সংস্থার তরফে আয়োজিত এক ইভেেন্টে গিয়ে বিরাট কোহলি একেবারে মন খুলেই কথা বললেন, এবং জানালেন ঠিক কি কারণে তিনি হঠাৎ করেই টেস্ট থেকে অব্যাহতি নেওয়ার এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বিরাট কোহলি মজা করে জানালেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গেই নিজের দাড়িতে পাক ধরেছে, তাই আর কি এমন সিদ্ধান্ত তাঁকে নিতে হয়েছে। বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমি দুই দিন আগেই আমার দাড়িতে রং করলাম। যখন চার দিন অন্তর দাড়ির রং বদলাতে হয়, তখন বুঝতে হয় যে এবার সময় হয়ে এসেছে ’।
১২৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৯২৩০ রান করেছেন বিরাট ২১০টি ইনিংসে। তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৬.৮৫, স্ট্রাইক রেট ছিল এই ফরম্যাটে প্রায় ৫৬। রয়েছে ৩০টি শতরান, ৩১টি অর্ধশতরান। সাতটি দ্বিশতরানও। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে বেশি দ্বিশতরান তাঁরই। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর এক ইনিংসে ২৫৪। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ২০১৮-১৯ মরশুমে টেস্ট সিরিজ জিতে আসার কৃতিত্বও বিরাটেরই ঝুলিতে।
রোহিত শর্মার অবসরের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বিরাট কোহলি অবসর নিয়েছিলেন। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল,তাহলে কি বোর্ডের চাপের মুখে নতি স্বীকার করেই টিম ইন্ডিয়ার এই তারকাকে অবসর নিতে হয়েছে। যদিও মজার ছলেই কোনও চাপের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন ক্য়াপ্টেন কোহলি।
টেস্ট থেকে অবসরের পর বিরাট এখন বেশ খোশ মেজাজেই আছেন। কদিন আগেই বার্মিংহ্যামে শুভমন গিলের অসাধারণ পারফরমেন্সের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে। এরপর অনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে তিনি উইম্বলডনের ম্যাচ দেখতেও গেছেন সম্প্রতি সেন্টার কোর্টে, সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতেও ছিলেন তিনিই।
যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথাও জানান কোহলি। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওর মাঠে এবং মাঠের বাইরে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ওর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় নর্থ জোনের প্রতিযোগিতায়। আমি ভারতের হয়ে খেলার সময় ভাজ্জি, জাহির খানরা আমায় ওদের হাতের নাগালেই রাখত। ওরা আমায় এই জায়গায় আসতে অনেক সাহায্য করেছে, আর ড্রেসিংরুমেও মানিয়ে নিতে সুযোগ করে দিয়েছে। মাঠে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি, ওপরে উঠতে গেলে কি করতে হয়, ওরাই আমায় শিখিয়েছে। এই সম্পর্কগুলো আমি সারাজীবন মনে রাখব। যুবরাজকে বিশ্বকাপে খেলতে দেখতে অসাধারণ লেগেছিল,কিন্তু এরপর আমরা যে খবরটা পেয়েছিলাম সেটায় খুব আঘাত পেয়েছিলাম। ওর এত কাছে থাকার পরেও আমরা বুঝেই পারিনি যে এমন কিছু হয়েছে ওর। এরপর ও চ্যাম্পিয়নের মতোই রোগকে জয় করেছে। শীর্ষে উঠেছে, দেশের হয়ে কামব্যাক করেছে যখন আমি দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছি ’।