বারো বছর আগে ভারত যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল, তখন তিনিই হিরো হয়েছিলেন। আর ২০২৫ সালে ভারত যখন ফের মিনি বিশ্বকাপে সেরা হল, তখন জয়সূচক শটটা এল সেই রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাট থেকে। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরে ছয় বলে নয় রানের একটা ছোট এবং গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ভারতকে ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করলেন জাদেজা। আর সেই জয়ের পরে ভারতের তারকা অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, আমরা ভূমিকাই এরকম। কখনও জিরো হই। কখনও হিরো হই।'
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মানেই মহাকাব্য লিখবেন জাদেজা!
আজ পুরো দেশের কাছে ‘হিরোই’ হয়ে থাকবেন জাদেজা। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল মানেই তিনি যেন মহাকাব্য লিখবেন। ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন জাদেজা। প্রথমে ব্যাটিং করে ২৫ বলে অপরাজিত রান করেছিলেন। একদিনের ক্রিকেটে সেই রানটা আহামরি না হলেও সেদিন বার্মিংহ্যামে জাদেজার ইনিংসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ বৃষ্টির জন্য ২০ ওভারের ম্যাচ হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ১২৯ রান তুলেছিল। আর জাদেজা গুরুত্বপূর্ণ রান করেছিলেন। আর বল হাতে চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে দু'উইকেটে নিয়েছিলেন।
দুর্দান্ত বোলিং ও ব্যাটিং জাদেজার
আর ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে দুর্ধর্ষ বোলিং করেন জাদেজা। ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। টম লাথামের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে দেন। আর কিউয়িদের রান পুরোপুরি আটকে দেন। ৬০ বলের স্পেলে ৩৫টি ডট করেন। মাত্র একটি বাউন্ডারি হজম করেন ভারতীয় তারকা। তারপর ব্যাট হাতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জয়সূচক শট মারেন। ছয় বলে নয় রানে অপরাজিত থাকেন।
দীর্ঘদিন খেলে ট্রফি জিততে না পারলে কষ্ট হয়! স্বীকার জাদেজার
একটা সময় অবশ্য মনে হয়েছিল যে জাদেজাকে মাঠে নামতে হবে না। কিন্তু পঞ্চম উইকেট পতনের পরে মাঠে নামেন ভারতের তারকা। সেইসময় ১৫ বলে ১১ রান দরকার ছিল ভারতের। রানটা বেশি না হলেও মূল বিষয়টা ছিল চাপ। ওই সময় ভারত আর একটা উইকেট হারালে বড় বিপদ হতে পারত।
সেটা হতে না দিয়ে চার মেরে ভারতকে জেতানোর পরে জাদেজা বলেন, ‘নতুন ব্যাটারদের জন্য পিচটা সহজ ছিল না। হার্দিক (পান্ডিয়া) এবং কেএল (রাহুল) দুর্দান্ত খেলছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের বিষয়টা অভাবনীয়। দীর্ঘদিন ধরে খেলে বড় টুর্নামেন্ট জিততে না পারার বিষয়টা খুব কষ্ট দেয়।’