গত টি-২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি স্টিভ স্মিথের। তাই বলে বিশেষ কোনও ফর্ম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার কথা মাথায় নেই অজি তারকার। বরং স্মিথের ইঙ্গিত, সম্ভবত টি-২০ ফর্ম্যাটেই তিনি নিজের কেরিয়ারকে সব থেকে বেশি দীর্ঘায়িত করতে পারেন। কেননা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন স্মিথ।
স্মিথ তিন ফর্ম্যাটেই খেলা চালিয়ে যাবেন বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন। তিনি সিডনি সিক্সার্সের হয়ে বিগ ব্যাশ খেলবেন বলে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি সারেন। সিক্সার্সের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেন স্মিথ। যার অর্থ, ২০২৬-২৭ পর্যন্ত পেশাদার ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি।
অবসর প্রসঙ্গে স্মিথ বলেন, ‘আমার এমন কোনও পরিকল্পনাই নেই। এই মুহূর্তে আমি খেলা উপভোগ করছি। নিজেকে অনেক ফুরফুরে মনে হচ্ছে এবং আসন্ন মরশুমে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
স্মিথ ২০২৮ অলিম্পিক্স প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি এখনও বছর চারেক টি-২০ ক্রিকেট খেলব। সুতরাং, বলা যায় না তখন সুযোগ পেয়ে যেতেও পারি। অন্যান্য ফর্ম্যাটের থেকে টি-২০ ফর্ম্যাটে আমি নিজের কেরিয়ারকে আরও বেশি দূরে টেনে নিয়ে যেতে পারি। এখন সারা বিশ্বে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। আমি এখানে (সিডনি সিক্সার্সে) তিন বছরের জন্য চুক্তি করছি। তার এক বছর পরেই অলিম্পিক্স। সুতরাং, অলিম্পিক্সে মাঠে নামতে পারলে দারুণ হবে।’
স্টিভ স্মিথ আপাতত অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ স্কোয়াডের বাইরে রয়েছেন। তবে ওয়ান ডে ও টি-২০ ফর্ম্যাটে অজি দলে স্মিথের জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় নেই। আগামী মাসেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ দিয়ে পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আবহে ঢুকে পড়বেন স্মিথ। তার পরেই ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামবেন তিনি।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া ৫ ম্যাচের সিরিজ প্রসঙ্গে স্মিথ বলেন, ‘দুই টেস্টের সিরিজে নিজেকে লুকিয়ে রাখা যেতে পারে, তবে ৫ টেস্টের সিরিজে সেটা অসম্ভব। এখানে পালটা আঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সুতরাং, দারুণ উত্তেজক সিরিজ হতে চলেছে।’
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি নিয়ে স্মিথ আরও বলেন, ‘সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতই এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ২টি টেস্ট দল। গত বছর ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলি এবং সেই ম্যাচ জিতি আমরা। গত দু’বার অস্ট্রেলিয়া সফরে এসে ওরা ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আশা করি এবার ছবিটা বদলে দিতে পারব। ১০ বছর হয়ে গেল আমরা শেষবার বর্ডার-গাভসকর ট্রফি জিতেছি। সুতরাং, এবার আমাদের জিততেই হবে।'