বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচগুলি। সেখানেই গ্রুপ সি-এর মরণ-বাঁচন ম্যাচে হরিয়ানার মুখোমুখি হয়েছে কর্ণাটক। প্রথম দিনে লড়াইটা ভালোই দিয়েছে তারা। এদিনের ম্যাচে কর্ণাটকের হয়ে ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমেছিলেন কেএল রাহুল। তবে স্টার্ট নিয়েও বড় রান করতে ব্যর্থ হন তিনি। অস্ট্রেলিয়া সফরে খুব একটা খারাপ ফর্মে ছিলেন না রাহুল। মোটের উপর ভালোই খেলেছিলেন। অজি সফরে ৫ টেস্টের ১০ ইনিংসে ব্যাট হাতে ২৭৬ রান করেছিলেন তিনি, গড় ৩০.৬৬। ২টি হাফ সেঞ্চুরিও করেছিলেন কর্ণাটকের এই ব্যাটার। সিরিজে ভারতের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন তিনি।
এদিন প্রায় ৫ বছর পর কর্ণাটকের হয়ে রঞ্জি খেলতে নেমেছিলেন কেএল রাহুল। শেষবার ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার রঞ্জি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল তাঁর দল। যেখানে ২ ইনিংসে ০ এবং ২৬ রান করেছিলেন রাহুল। ম্যাচে ১৭৪ রানে পরাজিত হয়েছিল কর্ণাটক। এদিন স্থানীয় ক্রিকেটার রাহুলের খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত হয়েছিল বেশ কিছু দর্শক। তারা এই ব্যাটারের থেকে বড় রানের ইনিংস আশা করছিলেন। তবে থিতু হয়েও আউট হয়ে যান তিনি। ৩৭ বলে ২৬ রান করেছিলেন রাহুল। মেরেছিলেন চারটি চার। অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে মিলে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন। তবে ৩৩.৪ ওভারে অংশুল কম্বোজের বলে আউট হয়ে যান তিনি। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটকিপার রোহিত শর্মার হাতে।
অন্যদিকে এদিন নিজের ১৯ তম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের শতক হাতছাড়া করেন মায়াঙ্ক। ১৪৯ বলে ৯১ রানে আউট হয়ে যান তিনি। মারেন ৮টি চার এবং ৩টি ছয়। এছাড়াও কর্ণাটকের হয়ে ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য রান করেন দেবদূত পাডিক্কাল এবং স্মরণ রবিচন্দ্রন। ৯৩ বলে ৪৩ রান করেন পাডিক্কাল। ৪৮ বলে ৩৫ রান করেন রবিচন্দ্রন। দিনের শেষে কর্ণাটকের স্কোর ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান। ১৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন কেএল সৃজিত (১৮*) এবং যশবর্ধন (২৭*)। হরিয়ানার হয়ে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন অংশুল কম্বোজ এবং ৭৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন অনুজ হিরা ঠাকরল। এছাড়া ৪৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন নিশান্ত সিন্ধু। বর্তমানে গ্রুপ সি-এর তিন নম্বরে রয়েছে কর্ণাটক। নক আউটের আশা জিইয়ে রাখতে হল এই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে তাদের।