ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রান করেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, প্রথম দিন মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করেছিল ভারত। সেখান থেকে এদিন ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। দ্বিতীয় দিন শতরানের দোরগোড়া থেকে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং কেএল রাহুল। যথাক্রমে ৮০ এবং ৮৬ রানে ফেরেন দুই ভারতীয় ব্যাটার।তবে আর এক ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা শতরানের মুখে দাঁড়িয়ে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৮১ রানে অপরাজিত তিনি। আর শুক্রবার মূলত রাহুল-জাদেজার দাপটেই ভারতের ইনিংস পৌঁছে গিয়েছে ৭ উইকেটে ৪২১ রানে। ১৭৫ রানে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়াও এদিন ৪১ করেন কেএস ভরত। আর ৩৫ করেন শ্রেয়স আইয়ার। দিনের শেষে জাদেজার সঙ্গে ৩৫ করে অপরাজিত রয়েছেন অক্ষর প্যাটেল।
দ্বিতীয় দিনের ভারতের স্কোর ৪২১/৭
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৭ উইকেটে ৪২১ রান। দিনের শেষ ওভারে ১৫ রান নেয় ভারত। এতে ভারতের স্কোর অনেকটাই লাফিয়ে বেড়ে যায়। ভারত ১৭৫ রানের লিড নিয়েছে। ১৫৫ বলে ৮১ করে অপরাজিত রয়েছেন রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৬২ বলে ৩৫ করে ক্রিজে রয়েছেন অক্ষর প্যাটেল।
দিনের শেষ ওভারে হার্টলিকে পিটিয়ে ১৫ রান নিল ভারত
দিনের শেষ ওভারে হার্টলিকে পিটিয়ে ছাতু করলেন অক্ষর। একটি ছয়, ২টি চার হাঁকালেন। এল মোট ১৫ রান। দিনের শেষটা ব্যাজবলের ঢঙেই করল ভারত।
৪০০ পার করে গেল ভারত
১০৭ ওভারে ৪০০ রানের গণ্ডি পার করে গেল। ওভারের দ্বিতীয় বলেই চার মারেন জাদেজা। সেই সঙ্গে ভারত পেরিয়ে যায় চারশো রান। ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪০৩ রান। জাদেজা করেছেন ১৪৯ বলে ৭৮ রান। অক্ষরের সংগ্রহ ৫০ বলে ২০ রান।
৯৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৩৭৫/৭
৯৬ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৭৫ রান ভারতের। ১১৬ বলে ৬৪ রান করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১৭ বলে ১০ রান অক্ষরের।
উপসসস.. রানআউট অশ্বিন
জাদেজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে গেলেন অশ্বিন। মাত্র এক রান করেই আউট হয়ে যান। অশ্বিন বল মেরেই রান নেওয়ার জন্য দৌড়েছিলেন। কিন্তু অশ্বিনের কল বুঝতে পারেননি জাদেজা। তিনি বলটা দেখছিলেন। জাদেজা যখন রানের জন্য দৌড়ান তখন অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে, তিনি তাই নিজের জায়গায় ফিরে আসেন। অশ্বিনও নন স্ট্রাইকার প্রান্তে ততক্ষণে চলে এসেছেন। দু'জনেই একদিকে হয়ে যান। হার্টলি বল ছুড়ে দেন ফোকসকে। উইকেটকিপার সহজেই আউট করে দেন অশ্বিনকে। সপ্তম উইকেট হারিয়ে বসল ভারত। অশ্বিন আউট হওয়ায় ক্রিজে এলেন অক্ষর। ৯১ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ৩৬২ রান ভারতের। ১০০ বলে ৬১ রান জাড্ডুর। ৩ বলে ৪ রান অক্ষরের।
আউউউটটট… ডিআরএস নিয়েও রক্ষা পেলেন না ভরত
জাদেজার তালে তাল মিলিয়ে লড়াই করছিলেন কেএস ভরত। আশা করা হয়েছিল, তিনি অন্তত হাফসেঞ্চুরি করে ফেলবেন। জবাব দেবেন সব সমালোনচনার। কিন্তু সে রকমটা হল না। অর্ধশতরান করা হল না ভরতের। রুটের বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন ভরত। ৮১ বলে ৪১ করে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। তবে ফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলে, ডিআরএস নেন ভরত। কিন্তু রিভিউতেও দেখা যায়, পরিষ্কার এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। তাঁর পরিবর্তে ক্রিজে এলেন অশ্বিন। ৮৯ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৬ উইকেটে ৩৫৭ রান। ৯৯ বলে ৬০ রান জাদেজার। অশ্বিন করেছেন ৩ বলে এক রান।
৩৫০ পার ভারতের
৮৮ ওভারে ৩৫০ পার করে গেল ভারত। ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৫২ রান। ৯৮ বলে ৬০ করে লড়ছেন জাদেজা। ৭৯ বলে ৩৭ করে ক্রিজে রয়েছেন ভরত।
হাফসেঞ্চুরি জাদেজার
বল হাতে তিন উইকেট নিয়েছেন। এবার ব্যাট হাতেও ভরসা জোগালেন জাদেজাষ করে ফেললেন হাফসেঞ্চুরি। ৮৪ বলে অর্ধশতরান পূরণ করে জাড্ডু। ৮৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান। জাদেজা করেছেন ৮৪ বলে ৫২ রান। ভরতের স্কোর ৬৩ বলে ২৯ রান।
চা-বিরতিতে ভারতের স্কোর ৩০৯/৫
লাঞ্চের পরেই কেএল রাহুলের উইকেট হারায় ভারত। তার পর অবশ্য কোনও উইকেট পড়েনি। চা-বিরতিতে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩০৯ রান। হাফসেঞ্চুরির পথে জাদেজা। তিনি ৬৮ বলে ৪৫ রান করে ফেলেছেন। কেএস ভরত ৩৭ বলে ৯ রান করেছেন।
৩০০ পার ভারতের
৭১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০০ করে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। ৭২ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩০৩ রান। ৫৪ বলে ৩৯ করে লড়াই চালাচ্ছেন জাদেজা। ২৭ বলে ৯ রান ভরতের।
আউউউটটট… সেঞ্চুরি মিস রাহুলের
সেঞ্চুরি হল না রাহুলের। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন রাহুল। মাত্র ১৪ রানের জন্য শতরান হল না রাহুলের। ৮৬ করে (১২৩ বল) হার্টলির বলে রেহান আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। তাঁর ইনিংসে ছিল আটটি চার এবং দু'টি ছক্কা। টেস্ট অভিষেকে হার্টলি তাঁর দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিল। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার কেএস ভরত। ৩৮ বলে ৩৪ করে ক্রিজে রয়েছেন জাদেজা। ১ বলে ৩ রান ভরতের।
রাহুলের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন জাদেজাও
৩৪ বলে জাদেজা ২৭ করে ফেলেছেন। রাহুলের সংগ্রহ ১১৬ বলে ৮৬ রান। ৬৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট ভারতের স্কোর ২৮১ রান। আপাতত ৩৫ রানে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া।
ইংল্যান্ডের রান পার হয়ে গেল ভারত
৫৬.৫ ওভারে ছয় মেরে রেহানকে ছয় মেরে ইংল্যান্ডের রান পার হয়ে গেল ভারত। সেই সঙ্গে তারা পৌঁছে গেল ২৫০ রানেও। ৫৭ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতের স্কোর ২৫০। ১০৪ বলে ৭৯ করে ফেলেছেন রাহুল। ১০ বলে ৩ রান জাদেজার। চার রানের লিড হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার।
আউটটট.. শ্রেয়সকে ফেরালেন রেহান
অকারণে বড় শট মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন শ্রেয়স আইয়ার। ৫২.৩ ওভারে রেহান আহমেদকে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। বাউন্ডারি লাইনের সামনে ক্যাচ ধরেন হার্টলি। লাঞ্চের পরে আসলে দুই ওভার থেকে এসেছিল মাত্র ১ রান। লাঞ্চের পরের ওভারটাই রেহান মেডেন নিয়েছিলেন। তার পরের ওভারে জ্যাক লিচ ১ রান দেন। রান না পেয়ে কিছুটা বিরক্ত হয়ে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু ৬৩ বলে ৩৫ করে সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৩টি চার, একটি ছয়। শ্রেয়সের বদলে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। এই ওভারটিও রেহান মেডেন দেন। ৫৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২২৩ রান ভারতের। ৮৭ বলে ৫৫ রান রাহুলের। ৩ বল খেললেও, জাদেজা এখনও রানের খাতা খোলেননি।
লাঞ্চ বিরতিতে ভারতের স্কোর ২২২/৩
মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি হয়ে গেল। ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান করেছেন। ক্রিজে রয়েছেন রাহুল এবং শ্রেয়স। দু'জনেই লড়াই করছেন। রাহুল হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। তাঁর স্কোর ৭৮ বলে ৫৫ রান। শ্রেয়স করেছেন ৫৭ বলে ৩৪ রান।
হাফসেঞ্চুরি রাহুলের
৭২ বলে ৫০ পূরণ করে ফেললেন কেএল রাহুল। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার। খারাপ সময়ে দলের হাল ধরে হাফসেঞ্চুরি করলেন রাহুল। ৪৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ২১২ রান। ৭২ বলে ৫০ রান রাহুলের। ৫১ বলে ২৯ রান শ্রেয়সের।
২০০ পার করল ভারত
৪৫তম ওভারে ২০০ পার করে গেল ভারত। ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২০২ রান ভারতের। ৬৮ বলে অপরাজিত ৪৭ রান রাহুলের। ৩৭ বলে ২২ করে লড়াই চালাচ্ছেন শ্রেয়সও।
৩৬তম ওভারে এল ১২ রান
৩৬তম ওভারে এল ১২ রান। কেএল রাহুল এই ওভারে মার্ক উডকে তিনটি চার হাঁকিয়েছেন। ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৭২ রান ভারতের। ৫০ বলে ৩৯ করে ফেলেছেন রাহুল। এক বলে খেলে রানের খাতা খোলেননি শ্রেয়স।
আউটটট… শুভমনকে ফেরালেন হার্টলি
শুভমন গিল একেবারেই ছন্দে নেই। এই টেস্টেও তিনি নিরাশ করলেন। যখন বড় রানের ইনিংস খেলে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ ছিল, এবং ভারতের জন্য তাঁর বড় রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তখন উইকেট ছুড়ে দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন শুভমন। ৩৪.৫ ওভারে হার্টলির বলে বাজে শট খেলে ডাকেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন শুভমন। ২টি চারের হাত ধরে ৬৬ বলে ২৩ করেই সাজঘরে ফিরতে হল শুভমনকে। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ার। ৩৫ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ১৫৯ রান। ৪৪ বলে ২৬ রান রাহুলের। শ্রেয়স এক বল খেললেও, রানের খাতা খোলেননি। হার্টলি প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট উইকেট নিলেন।
১৫০ পার ভারতের
৩২তম ওভারে ১৫০ পার করে গেল ভারত। ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ১৫৬ রান। ৩২ বলে ২৩ রান রাহুলের। ৬১ বলে ২৩ রান শুভমনের।
দ্বিতীয় দিন প্রথম ৫ ওভারে রান হল মাত্র ১৩
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই যশস্বীকে হারিয়ে একটু চাপে পড়ে যায় ভারত। ইংল্যান্ডের জো রুট এবং টম হার্টলি মিলে দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকে ভারতকে চাপে রেখেছে। এদিন প্রথম ৫ ওভারে রান হল মাত্র ১৩। তার মধ্যে যশস্বীর একটি চার রয়েছে। ২৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৩২ রান ভারতের। ৫২ বলে ১৬ রান শুভমনের। রাহুলের সংগ্রহ ১৬ বলে ৬ রান।
আউউউটট… সাজঘরে ফিরলেন যশস্বী
দ্বিতীয় দিনের প্রথম ওভারেই বড় ধাক্কা খেল ভারত। সাজঘরে ফিরে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। এদিন যশস্বী জো রুটকে ওভারের দ্বিতীয় বলে একটি চার মারেন। আর চতুর্থ বলেই ফিরে যান সাজঘরে। রুটের বলে তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়েই আউট হন যশস্বী। সেঞ্চুরি করা হল না। এদিন মাত্র চার রানই যোগ করতে পেরেছেন তিনি। ৭৪ বলে ৮০ রান করে আউট হয়ে যান যশস্বী। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং তিনটি ছক্কা। পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন নতুন ব্যাটার কেএল রাহুল। ২৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১২৪ রান ভারতের। ৪৩ বলে ১৪ রান শুভমনের। ২ বল খেললেও রানের খাতা খোলেননি রাহুল।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়ে গেল ভারতের। যশস্বী শতরান পান কিনা, সেটাই দেখারষ ভারত চাইবে, বড় রানের পাহাড় গড়তে।
মাঠে না থেকেও কোহলির রেকর্ড
ব্যক্তিগত কারণে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দুই টেস্টে নেই বিরাট কোহলি। মাঠে না থাকলেও রেকর্ড বুকে রয়েছেন বিরাট কোহলি। কিং কোহলির মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি নতুন পালক। আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ান ডে ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেন বিরাট কোহলি। এই নিয়ে রেকর্ড চতুর্থ বার এই পুরস্কার কিং কোহলির। ৩৫ বছরেও তাঁর ব্যাটিং শাসন যে থামেনি, আইসিসির এই সম্মানেই যেন পরিষ্কার।
অশ্বিনের সামনে বড় নজিরের হাতছানি
টেস্ট ক্রিকেটের ক্যারিয়ারে অশ্বিন ৫০০ উইকেট নেওয়ার মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে। ৫০০ উইকেট নিতে তাঁর আর প্রয়োজন ৭ উইকেট। প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ১০ উইকেট দরকার ছিল। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়ায়, আর সাতটি উইকেট প্রয়োজন অশ্বিনের। পারবেন তিনি এই টেস্টেই ৫০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছতে?
অশ্বিন উবাচ
বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর অশ্বিন বলেছেন, ‘প্রথম সেশনটা বেশ উত্তেজক ছিল। হয়তো কিছুটা আর্দ্রতা ছিল পিচে। প্রথম সেশনে বলে গতি ছিল না। পরে মন্থর হয়ে যায়। তবে যে বলগুলো ঘুরছিল সেগুলোয় গতি ছিল না। তাই ঘূর্ণির পাশাপাশি বাড়তি গতির দিকে নজর রাখতে হচ্ছিল আমাদের। রান যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছিল। ২৪০ রান এই পিচে বেশ ভালো। আমরা মাঠ ছাড়ার সময় ভাবছিলাম হয়তো ৩০-৪০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। তবে যশস্বী এবং রোহিত যে ভাবে শুরুটা করেছিল সেটা আমাদের ভালো জায়গায় রেখেছে। দ্বিতীয় দিন কেউ শতরান করলে আমরাই চালকের আসনে বসব।’
নয়া বোলিং রেকর্ড অশ্বিন-জাড্ডু জুটির
টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সব থেকে সফল বোলিং জুটি এখন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নতুন নজির গড়েছেন তাঁরা। ভেঙে দিয়েছেন অনিল কুম্বলে-হরভজন সিং জুটির রেকর্ড। কুম্বলে এবং হরভজন এক সঙ্গে ৫৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। সেই ম্যাচগুলিতে দু’জনে মিলে নিয়েছিলেন ৫০১টি উইকেট। কুম্বলে নিয়েছিলেন ২৮১টি উইকেট। আর হরভজনের শিকার সংখ্যা ২২০। এত দিন পর্যন্ত তাঁরাই ছিলেন টেস্টে ভারতের সফলতম বোলিং জুটি। বৃহস্পতিবার তাঁদের কৃতিত্ব ছাপিয়ে গেলেন অশ্বিন এবং জাদেজা। অশ্বিন-জাদেজা তাঁদের নজির ভাঙলেন ৫০তম টেস্টে। তাঁদের জুটির উইকেট সংখ্যা এখন ৫০৬। তার মধ্যে অশ্বিনের উইকেট সংখ্যা ২৭৮টি এবং জাদেজার ২২৮টি। এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিষেণ বেদি এবং বিএস চন্দ্রশেখর। তাঁরা এক সঙ্গে ৪২টি টেস্টে ৩৬৮টি উইকেট নিয়েছিলেন।
ব্যাজবল খেলল ভারত
ভারত বরং আগ্রাসী মেজাজে খেলা শুরু করে। দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ভারতের স্কোর ১১৯। যশস্বী জয়সওয়াল ব্যাজবলের মেজাজেই ৭০ বলে ৭৬ করে অপরাজিত রয়েছেন। ২৭ বলে ২৪ করে আউট হয়ে যান রোহিত। ১৪ করে অপরাজিত রয়েছেন শুভমন গিল।
প্রথম দিনই বেহাল দশা ইংল্যান্ডের
হায়দরাবাদের ঘূর্ণি উইকেটে ধরাশায়ী হয়ে যায় ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বেন স্টোকসের দল। সর্বোচ্চ রান ইংল্যান্ড অধিনায়কের। ৮৮ বলে ৭০ রান করেন স্টোকস। তার মধ্যে রয়েছে ৩টি ছয়, ৬টি চার। অশ্বিন (৩ উইকেট), জাদেজার (৩ উইকেট) স্পিনে কুপোকাত থ্রি লায়ন্স। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই বল ঘুরছিল। তার পূর্ণ ফায়দা তোলে ভারত। আট ওভার পেসারদের দিয়ে বল করানোর পর, স্পিনার নিয়ে আসেন রোহিত। তাতে কাবু ইংল্যান্ড। একমাত্র স্টোকস ছাড়া বাকিরা দাঁড়াতেই পারেনি। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। বেন ডাকেট (৩৫), জো রুট (২৯), জনি বেয়ারস্টো (৩৭) শুরুটা খারাপ করেনি। কিন্তু ব্যাজবল স্টাইলে খেলতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দেন। ৬৪.৩ ওভারে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।