Virat Kohli amazing fielding: একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেতে দুইবার দুই শতাধিক রান। দুটি সুপার ওভার। রোহিতের সেঞ্চুরি, রিঙ্কু সিংয়ের সাহসিকতা। গুলবাদিন নায়েবের বিস্ফোরণ। কিন্তু ম্যাচের নায়ক কে? অনেকেই বলছেন গোল্ডেন ডাকে আউট হওয়া বিরাট কোহলি হলেন এই ম্যাচের অন্যতম হিরো। ওটা কেমন করে হয়? এটা জানতে গেলে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ম্যাচের সাধারণ অবস্থা। টস জিতেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তকে ঠিক প্রমাণ করছিলেন হিটম্যান ও রিঙ্কু সিং। রিঙ্কু ৩৯ বলে ৬৯ রান করেন। যেখানে অধিনায়ক রোহিত ৬৯ বলে ১২১ রানের অবদান রাখেন। এর আগে মোট ২২ রানে চার উইকেট হারিয়েছিল ভারত। এরপর অপরাজিত ১৯০ রানের জুটি গড়েন রিঙ্কু ও রোহিত। বিশ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তোলে ভারত। জবাবে আফগানিস্তান দলও সমান সংখ্যক রান তুলতে সক্ষম হয়। এই সময়ে দুরন্ত ফিল্ডিং করেন বিরাট কোহলি। দেখুন সেই ভিডিয়ো-
এই রান তুলতে কুড়ি ওভারে ছয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলের পক্ষে অর্ধশতক করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান ও গুলবাদিন নাইব। মাত্র ২৩ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন নায়েব। যেখানে মহম্মদ নবি ১৬ বলে ৩৪ রান করেন। দুই দলের স্কোর সমান, সুপার ওভারের পালা। এই সময়ে সকলেই বিরাট কোহলির সেই ফিল্ডিংকে মনে করলেন। কারণ কোহলি যদি সেই ছয়টা না বাঁচাতেন তাহলে খেলা যে সুপার ওভারেই যেত না।
কী হয়েছিল সেই সময়ে?
এবার আসা যাক বিরাট কোহলির প্রসঙ্গে। যেখানে পুরো ম্যাচে রোহিত শর্মাই পারফর্ম করলেন সেখানে ম্যাচ জয়ের পিছনে কোহলির কথা কেন উঠছে? আসলে ভারতের এই জয়ের পিছনে রয়েছে কোহলির নজর কাড়া ফিল্ডিং। ম্যাচের ১৭ ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দর যখন বোলিং করছিলেন তখন তাঁর ওভারের পঞ্চম বলে জোরালো শট মারেন করিম জানাত। বিরাট কোহলি তখন লং অন দাঁড়িয়ে ছিলেন। জনাত শট মারতেই সকলে বুঝতে পারলেন ওটা একটা ছক্কা হতে চলেছে। কিন্তু কোহলির পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। সে তার জায়গা থেকে লাফিয়ে উঠে এমনভাবে লাফ দিলেন যে সে বলটি ছক্কা তো হল না বরং রান বাঁচিয়ে টিম ইন্ডিয়াকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন কোহলি।
নিশ্চিত ছক্কার বলটি বিরাট কোহলির ডান হাতে আটকে যায়। তবে ক্যাচ ধরতে পারেননি তিনি। কোহলির এই প্রচেষ্টা নিশ্চিতভাবে দলের পাঁচ রান বাঁচিয়ে দেয়। এই ছক্কাটা এখানে মারলে ম্যাচ সুপার ওভারে যেত না ভারত জিতত না। ওহ হ্যাঁ, এই প্রচেষ্টার সময় কোহলিকে ঠিক তেমনই দেখাচ্ছিল যেভাবে বোলিং করার সময় জসপ্রীত বুমরাহকে দেখায়। কোহলির এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাইরাল হয়ে যায়।
এই ম্যাচে প্রথম সুপার ওভারে আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে। এক উইকেট হারিয়ে ১৬ রান করেন তিনি। ভারতের পালা আসে।পরপর দুটি ছক্কা মারলেন রোহিত। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে বিদায় নেন। এরপর জয়ের জন্য শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল দুই রান। হয়ে গেল মাত্র একজন। মানে আরেকটি সুপার ওভার।
এবার ভারত প্রথমে ব্যাট করে। রোহিত শর্মা একটি ছক্কা এবং তারপর একটি চার মারেন। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন। চতুর্থ বলে আউট হন রিঙ্কু সিং। পঞ্চম বলে রান আউট হন রোহিত শর্মা। মোট রান এগারো। এবার আফগানিস্তানের পালা। রবি বিষ্ণোই বল করতে এসে তিন বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন। ভারত ম্যাচ জিতে ও সিরিজ ৩-০ তে জিতে নেয়। তবে কেউ বিরাট কোহলির এই ফিল্ডিং ও ফিটনেসকে ভুলতে পারবেন না।