ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে নয়া প্রজন্মকে দেখতে পাওয়া যাবে ভারতীয় টেল্ট দলের হয়ে। শুভমন গিলের অধিনায়কত্বে, আর ঋষভ পন্তের সহ অধিনায়কত্বে টিম ইন্ডিয়াকে দেখা যাবে অন্য মোড়কে। চেনা রোহিত, বিরাট, অশ্বিনদের সেই ফোকাস আর এই ম্যাচ থেকে থাকবে না। অভিজ্ঞতা ভাগ করার বা পরামর্শ দেওয়ার মানুষদের সংখ্যাও কমবে। একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর, তিন তারকার টেস্ট বিদায়ে ভারতীয় দলে এক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা ঢাকতে হবে গম্ভীরকেই।
ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০০৭ সালের পর থেকে এমনিতেই সিরিজ জেতেনি ভারত। তারপর এতগুলো সিনিয়র ক্রিকেটারের না থাকা ভারতকে যে সমস্যায় ফেলতে পারে, সেকথা মেনে নিচ্ছেন ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার ব্রাইডন কার্স। তিনি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘দেখো বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের না থাকা ভারতের জন্য বড় ক্ষতি, তাঁদের ব্যাটিং লাইন আপে। ওরা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, আর সবাই জানো যে ওরা বিশ্বমানের ব্যাটার ’।
এরপর কার্স আরও যোগ করে বলছেন, ‘কিন্তু ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ে এত ভালো মানের ক্রিকেটাররা রয়েছে, আর দল এতটাই শক্তিশালী যে কয়েকজন ক্রিকেটার না থাকলেও তেমন বড় কোনও সমস্যা হয় না। তাই ওরা যে নিঃসন্দেহে ভালো লড়াই দেবে আর শক্তিশালী একাদশই নামাবে, সেকথা বলাই যায়। আমরাও তৈরি আছি সব ধরণের পরিস্থিতি এবং চ্যালেঞ্জের জন্য ’।
ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপেও বেশ কয়েকজন নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। যেমন সাই সুদর্শনকে খেলানো হলেও হতে পারে। নাহলে দীর্ঘদিন টেস্ট দলে সুযোগ না পাওয়া করুণ নায়ারকেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। লোকেশ রাহুলের অবশ্য ব্যাটিং পজিশন একই থাকছে, তিনি ওপেনিং করতে চলেছেন। এই টেস্টে ইংল্যান্ডে হয়ে অভিষেক হতে চলেছে ব্রাইডন কার্সের।
ভারতের বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেকের আগে ইংরেজ তারকা বলছেন, ‘ভারতে অনেক ভালো মানের ক্রিকেটাররা রয়েছে। ওরা পরিস্থিতি বুঝে খেলে। যে কোনও ব্যাটারকেই যখন বোলিং করি, আমি জানি যে নতুন বলে প্রথম ২০টা বল খুব গুরুত্বপূর্ণ, আউট করার জন্য। তাই যেখানেই আমরা সুযোগ পাব টপ অর্ডার ব্যাটারদের আউট করার, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমাদের প্ল্যানিং করা হয়েছে, সেটাই কাজে লাগাব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের আউট করে দিতে চাইব ’।