দিল্লি ক্যাপিটালসের পেসার মোহিত শর্মা সম্প্রতি এক মজার কাহিনি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যখন তিনি চেন্নাই সুপার কিংসে ছিলেন তখন CSK-র অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁকে একটি বিশেষ ডাকনাম দিয়েছিলেন। ৩৬ বছর বয়সি এই পেসার ২০১৩ সালে আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ২০১৬ পর্যন্ত তিন বছর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে খেলেন। সিএসকের হয়ে ৪৭টি ম্যাচে ৫৭টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এই সময়েই তিনি ২০১৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের হয়েও অভিষেক করেছিলেন।
বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল ২০২৫-এ খেলা মোহিত ধোনি ও চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। মোহিত শর্মা জানান, খেলার সময় গর্জন করার অভ্যাস থাকায় ধোনি তাঁকে বিশেষ নামে ডাকতেন। আসলে যেহেতু মোহিত বড্ড গর্জন করতেন তাই তাঁকে ধোনি ‘মারিয়া শারাপোভা’ নামে ডাকতেন।
উল্লেখ্য, টেনিস কিংবদন্তি মারিয়া শারাপোভা, যিনি ২০০৬ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পাঁচটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন, তিনিও খেলার সময় উচ্চস্বরে গর্জন করতেন এবং এই কারণের জন্যেও মারিয়া শারাপোভা বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।
আরও পড়ুন … মরশুমের শুরুতেই নীরজ চোপড়ার অবাক করা পারফরমেন্স! প্রথম স্থান দখল করলেন ভারতের সোনার ছেলে
মোহিত শর্মা বলেন, ‘মাহি ভাই আমাকে ডাকতেন ‘মারিয়া শারাপোভা’ বলে। তিনি বলতেন, ‘তুই এমন গর্জন করিস, যেমন টেনিস প্লেয়াররা করে।’ আমি বলতাম, ‘এই গর্জনের ফলে ব্যাটসম্যানের মনে হবে বল ১৪৫-১৫০ কিমি গতিতে আসছে, যদিও বল ধীরে আসে। এটা তো আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট।’
এছাড়াও মোহিত শর্মা আগেই বলেছিলেন, এবারের আইপিএলে থুতু ব্যবহার বোলারদের জন্য অনেক বড় স্বস্তি এনে দিয়েছে। আসলে এই বছরেই লালা ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে বিসিসিআই। এই নিয়ম ফিরে আসায় এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বল বদলের নিয়ম চালু হওয়ায় বেশ খুশি মোহিত শর্মা।
আরও পড়ুন … নায়ারকে তো ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে! অভিষেককে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে রয়েছে অন্য খেলা
আইপিএল ২০২৫-এর আগে, বিসিসিআই COVID-19 অতিমারীর সময় থেকে চলা থুতু ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয় এবং ‘সেকেন্ড বল রুল’ চালু করে, যার ফলে সন্ধ্যার ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসের ১০ ওভারের পর দলগুলো একটি ব্যবহৃত বল নিতে পারে, যাতে শিশিরের সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়।
আরও পড়ুন … রাগের মাথায় CSK-র টিম হোটেল ছেড়েছিলেন ধোনি! জানেন রেগে গিয়ে অশ্বিনের সঙ্গে কী করেছিলেন মাহি?
মোহিত বলেন, ‘হ্যাঁ, বল বদলের নিয়ম ১০০% সাহায্য করেছে। গত ম্যাচেই আমরা সেটা দেখেছি। প্রথম ইনিংসে ১২ ওভারের পর বল ভিজতে শুরু করে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ বা ১৪তম ওভারে কার্ন যখন বল করে, তখন বল স্পিন করছিল। তাই, শক্ত বল (হার্ড বল) সামান্য পার্থক্য তৈরি করে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, যখন বল ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত যায়, তখন আবার তার অবস্থাও আগের মতো হয়ে যায়।’