IMAর রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেন, আইএমএর এবারের ভোটে লড়ছেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সভাপতি ও সম্পাদক, কোনও পদেই তিনি লড়বেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে, রবিবার আইএমএর রাজ্য শাখার সাধারণ সভা ঘিরে তুলকালাম পর্ব দেখা যায়। সভা শুরুর আগেই উত্তরবঙ্গ লবিকে শুনতে হয় ‘গো ব্যাক স্লোগান’। এরপর শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায় গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি হয়, পরে দুই পক্ষকে একে অপরের কাছে হাত জোড় করে আর্জি জানাতেও দেখা যায়।
এদিকে, বিগত ১০ বছর ধরে আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদকের পদে রয়েছেন শান্তনু সেন। জল্পনা ছিল এবারের ভোটে তিনি মনোনয়ন দেবেন কি না, তা নিয়ে। নানান জল্পনা-চর্চার মাঝে শান্তনু সেন বলেন,'আমার নামও অনেকে সেক্রেটারি হিসাবে চেয়েছিলেন, আমার কোথাও মনে হয়েছে, অনেকদিন এটা করেছি,আইএমএ অরাজনৈতিক হিসাবে কাজ করুক, সেজন্য আমার না থাকাটাই ভালো।' একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের স্বার্থে আমি সবসময় থাকব। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’
(Detonator at Rail Track: রেল ট্র্যাকে বিস্ফোরক পদার্থ! মধ্যপ্রদেশে থমকে গেল সেনার বিশেষ ট্রেন, নাশকতার ছক? শুরু তদন্ত )
এর আগে, সভাস্থল থেকে একটি মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বাক্য বিনিময় হচ্ছে। একদিকে সুশান্ত রায়কে বলে শোনা যায়, ‘এগুলো আপনাদের বানানো গল্প’, পাল্টা শান্তনু পক্ষের অনেকে বলেন,'কোনওটাই বানানো নয়।' একটা সময় শান্তনু সেনকে দেখা যায় সুশান্ত রায়ের দিকে হাত জোড় করতে। শান্তনু সেন, সুশান্ত রায়কে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
(Weather and Rain Forecast in WB: প্লাবন-বিপর্যয়ের মাঝে পুজোর আগে ফের বৃ্ষ্টি! বাংলায় সোমে বর্ষণ কোথায় কোথায়? )
উল্লেখ্য, রবিবার ছিল আইএমএর সভা। সেই সভায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার ছিল। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ড ঘিরে জুনিয়ার ডাক্তার থেকে শুরু করে গোটা বাংলা ক্ষোভে তপ্ত। এদিকে, তারই মাঝে উত্তরবঙ্গ লবিকে ঘিরে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। এই পর্বের মধ্যে রবিবার ছিল আইএমএর রাজ্য শাখার সাধারণ বৈঠক। সেখানে কার্যত উত্তরবঙ্গ লবির পক্ষ থেকে ছিলেন সুশান্ত রায়রা। তাঁরা সভাস্থলে আসতেই তাঁদের শুনতে হয়েছে ‘গো ব্যাক স্লোগান’।