কুনকি হাতির পিঠে চড় গন্ডার গণনা। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজ চলছে গন্ডারের। সেই অনুসারে গন্ডারের মোট সংখ্যা নির্ণয় করা হবে। তবে এবারের সুমারিতে মোটের উপর ভালো কিছুর আশা করছেন বনদফতরের আধিকারিকরা।ইতিমধ্যেই কয়েকটি গন্ডার শাবকের খোঁজ মিলেছে। সেক্ষেত্রে এবার গন্ডারের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।জলপাইগুড়ির সাম্মানিক ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে শেষবার গন্ডার গণনার সময় ৫২টি বড় গন্ডার ও ৩টি শাবকের দেখা মিলেছিল। এবার সেই সংখ্যা অনেকটা বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর ওয়ার্ডেনের এই কথার মধ্যেই আশার আলো দেখছেন অনেকেই।উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে গন্ডারকে বাঁচিয়ে রাখতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গন্ডারের আবাসস্থল যাতে যথাযথ থাকে সেব্যাপারেও নজরদারি চলে। পাশাপাশি চোরাশিকারীদের হাত থেকে গন্ডার বাঁচানোও বনদফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে গতবারের তুলনায় এবার কতগুলি গন্ডার বাড়ছে সেদিকেও নজর রয়েছে বিভিন্ন মহলের।অন্তত ৫০টি টিম এবার গন্ডার গণনায় অংশ নিয়েছে। দুদিন ধরে চলা গন্ডার গণনার শেষ হয়েছে। ১৭টি কুনকি হাতি গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ২৫২ বর্গ কিমি এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। জঙ্গলের ২০টি রেঞ্জে বনকর্মী, ফরেস্ট গাইড, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এই গন্ডার গণনায় অংশ নেন। এবার তারই ফলাফল বের হওয়ার পালা।