লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘাসফুলের ঝড় দেখা গিয়েছে গোটা বাংলায়। তা বলে আত্মতুষ্টিতে ভুগে থেমে থাকতে নারাজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আবার শুরু হয়েছে কালীঘাট মিলন সংঘ ক্লাবে ‘জনতার দরবার’। মানুষের সমস্যা শুনে তাঁদের সমাধানের রাস্তা দেওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর কাজ। সেই কাজ থেমে থাকছে না। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এবার আবার তা খুলে গেল। ফলে নানা প্রান্তের মানুষ আসছেন তাঁদের সমস্যা, অভাব, অভিযোগ জানাতে। আর সেসব শুনে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এখানে প্রশাসনিক অফিসাররাও থাকছেন। যাঁরা মানুষের সমস্যা শুনে সহযোগিতা করছেন।
আর দলের কোনও বিষয় থাকলে বা কেউ চিঠিপত্র দিলে সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল ভবনে। যে কাজ দল করতে পারবে সেটার জন্য মানুষকে বলে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগাযোগ করতে। রবিবার থেকে বসতে শুরু করেছে জনতার দরবার। প্রায় একহাজারের বেশি মানুষ এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। এখানে এসে তাঁরা জানিয়ে গিয়েছেন নানা কথা। সেগুলির সমাধানের কাজও চলছে। এই কাজের মধ্যে দিয়ে ব্যাপক আকারে জনসংযোগ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের সঙ্গে কথা বলতে খুব ভালবাসেন। সেটা শহরে এবং জেলায় যখনই রাস্তায় নেমেছেন তখনই মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেনে নিয়েছেন সমস্ত তথ্য।
আরও পড়ুন: আবার দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে, ম্যাকাউটের অডিট রিপোর্টে বিস্তর গড়মিল, তঙ্গে আলোড়ন
এবার এই ‘জনতার দরবার’ করে একদিকে জনসংযোগ অপরদিকে শহরাঞ্চলের ভোট কমে যাওয়ার কারণ একলপ্তে জেনে নিতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে গিয়ে মানুষজন অভিযোগ জানাতে পারেন। কারণ তার জন্য একটি সেল রয়েছে। আবার ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামে হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও বাংলার মানুষজন ফোন করে নানা সমস্যার কথা জানান। উপকৃতও হয়েছেন এভাবে বহু মানুষ। সারা বছর জনসংযোগ করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ–বিধায়ক–নেতা–মন্ত্রীদের মানুষের পাশে থাকার কথাই বলে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার যা আগে করতেন সেই কাজ শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।