ফের রাজ্য প্রশাসনে রদবদল করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তিু জারি করে জোড়া রদবদল করা হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর একাধিক আমলার রদবদল করেছেন। দুটি পরিবর্তন সেই তালিকায় নবতম সংযোজন। এবার নির্বাচন কমিশন যে দু’জন আধিকারিককে বহাল করেছিল তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়া হল।বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের সচিব ছিলেন সংঘমিত্রা ঘোষ। নির্বাচনের সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে একাধিক আধিকারিককে সরানো হয়। তখন কমিশনের অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার পদে আনা হয় ১৯৯৭ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার সংঘমিত্রা ঘোষকে। নির্বাচন শেষ হয়ে সরকার গঠন হতেই তাঁকে পুরনো পদেই ফেরানো হল। আর এক অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার স্মারকি মহাপাত্রকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁকে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিব পদে নিয়োগ করা হল। তিনি ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার।বিধানসভা নির্বাচনে হ্যাট্রিক করে দুশোরও বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর নির্বাচন মিটতেই রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনিক পদে রদবদল করা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পরই বদলানো হয়েছে বীরভূমের জেলাশাসক এবং এসডিপিও–কে। রাজ্য পুলিশের আরও একাধিক পদে বদল আনা হয়েছে। এবার আরও বদল আনা হল।বীরভূমের জেলাশাসকের পদে ডিপি কারনামের জায়গায় আসছেন বিধানচন্দ্র রায়। তিনি আগে খাদ্য দফতরের যুগ্ম সচিব ছিলেন। ডিপি কারনামকে করা হয়েছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের ডিরেক্টর। বিশ্ববাংলা কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বও সামলাবেন। নিখিল নির্মলকে করা হয়েছে বস্ত্র দফতরের ডিরেক্টর। হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার অভিষেক তিওয়ারিকে করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সচিব। ধবল জৈনকে করা হয়েছে হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার। সরানো হয়েছে নদিয়ার জেলাশাসক পার্থ ঘোষকেও। তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ অ্যাগ্রি মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে।