ওই রোগীর নাম অনামিকা মজুমদার। ওই মাংসপিণ্ড তাঁর মুখের ভিতরে শাখা প্রশাখা বিস্তার করেছিল। পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল যে নিঃশ্বাস নিতে গিয়ে সমস্যা হয়েছিল মহিলার। মাংসপিণ্ডের চাপে সরু হয়ে গিয়েছিল শ্বাসনালী। আর তাতেই সমস্যা বহুগুণে বেড়ে যায়।
অস্ত্রোপচার। প্রতীকী ছবি
এক মহিলার মুখের ভিতরে বাসা বেঁধেছিল বিশালাকার টিউমার। যার ফলে শ্বাসনালী প্রায় আটকে গিয়েছিল। শ্বাস নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন রোগী। এরফলে রোগীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছিল। অবশেষে ১৮ জন চিকিৎসকের তৎপরতায় ওই রোগীর মুখের ভিতর থেকে টিউমার কেটে বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর অস্ত্রোপচার করে মাংসপিণ্ড কেটে বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ক্যানসার নির্মূল করার চিকিৎসা চলছে ওই রোগীর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগীর নাম অনামিকা মজুমদার। ওই মাংসপিণ্ড তাঁর মুখের ভিতরে শাখা প্রশাখা বিস্তার করেছিল। পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল যে নিঃশ্বাস নিতে গিয়ে সমস্যা হয়েছিল মহিলার। মাংসপিণ্ডের চাপে সরু হয়ে গিয়েছিল শ্বাসনালী। আর তাতেই সমস্যা বহুগুণে বেড়ে যায়। সাধারণত ট্রাকিয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য ২২ মিলিমিটার জায়গা প্রয়োজন হয় সেখানে অনামিকার শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ট্রাকিয়ায় জায়গা ছিল ১ মিলিমিটারের অনেকটাই কম। এমন পরিস্থিতিতে ওই মহিলা অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় শ্বাসনালীর কাছে দখল করে রয়েছে টিউমার। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মুখের ভিতরে বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে বিস্তৃত ছিল এই মাংসপিণ্ড। এক ইএনটি বিশেষজ্ঞ জানান, ক্রিকোফ্যারিংস থেকে ইসোফেগাস পর্যন্ত এই মাংসপিণ্ড বিস্তৃত ছিল। যার ফলে শ্বাসনালীতে বাধা তৈরি হয়েছিল এবং নিশ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। এই অবস্থায় মহিলার গলায় ফুটো করে নল ঢুকিয়ে শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতে সমস্যা দেখা দেয়। কারণ মাংসপিণ্ড থাকায় সেটি করার উপায় ছিল না।