সাতসকালে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা। এক মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল দুটি জীবন। বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকার পাইকা গ্রামে সোমবার সকালে বাইকে চেপে কাজে যাচ্ছিলেন দুই খুড়তুতো ভাই। সেই সময় একটি পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন দুই ভাই। মৃতদের নাম রহমতুল্লা মণ্ডল (৩৮) ও নিয়ামততুল্লা মণ্ডল (৩২)।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা, ট্রেকারে সজোরে ধাক্কা ডাম্পারের, মৃত ৫, আহত ১০
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃতদের বাইক একেবারে ধীরে যাচ্ছিল। রাস্তার ধার দিয়েই চলছিল। হঠাৎ সামনেই পিকআপ ভ্যান চলে আসে। তার গতি এতটাই ছিল যে চালক কিছু বোঝার আগেই ধাক্কা মারে। তারপর দুজনে বাইক থেকে অনেকটা দূরে ছিটকে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনেই বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের পুনিশোল-আসনবণি গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় কাঠমিস্ত্রি। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও কাজের জন্য রওনা হয়েছিলেন। গন্তব্য ছিল বিবড়দা। বাইকে চেপে রওনা হয়েছিলেন রতনপুর-হাড়মাসড়া রোড ধরে। তালডাংরার পাইকা গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান আচমকা সামনে এসে পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে সেটি। তারফলে দুজনে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসে তালডাংরা থানার পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালেই মৃত ঘোষণা করা হয় রহমতুল্লা ও নিয়ামততুল্লা মণ্ডলকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানটির চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। দাঁড়ানোর চেষ্টাও করেনি সে। ইতিমধ্যেই ওই গাড়িটির খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সবাই স্তব্ধ। ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে রতনপুর-হাড়মাসড়া রোডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই রোডে দ্রুতগতির গাড়ির চলাচল অনেক বেশি, অথচ নিয়ন্ত্রণ বলতে কিছু নেই। নেই ট্র্যাফিক নজরদারি।