হিন্দি ধারাবাহিকের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক ‘অনুপমা’। অনুপমা চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় বাঙালি অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়কে। দীর্ঘদিন ধরেই টিআরপির শীর্ষে থাকে এই ধারাবাহিকের নাম। কিন্তু আচমকা ২৩ জুন ভোর পাঁচটা নাগাদ অনুপমার সেটে লেগে যায় ভয়ানক আগুন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই X হ্যান্ডেলে এই ভয়ানক আগুনের খবর শেয়ার করে লেখে, সকাল ৭ টায় শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগেই সেটে আগুন লেগে যায়। সেটটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়, কয়েক ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে হতাহতের খবর সামনে উঠে আসেনি।
আরও পড়ুন: বিরাটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে জেনেলিয়া! ইন্টারনেটে ফাঁস ভিডিয়ো,আসল ব্যাপার কী?
আরও পড়ুন: 'জীবন আগের মতো থাকবে না...', কাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সায়ন্তিকা?
সূত্র অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে, ভোর ছটা নাগাদ বৃহন্মুম্বই পৌর কর্পোরেশনের দমকল বাহিনীকে আগুন লাগার খবর জানানো হয়। দমকলকর্মীদের চেষ্টায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন কীভাবে লাগলো, তা এখনও জানা যায়নি।
এই ঘটনার পর অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ব্যাপারটি নিয়ে তদন্ত করা হবে। বিষয়টি চাপা দেওয়া বা উপেক্ষা করা হবে না। আগুন কেন লাগলো, সেটা জানার প্রচেষ্টা করা হবে। তবে ইতিমধ্যেই AICWA ফিল্ম সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবিলম্বে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে।
অন্য একটি পোস্টে AICWA জানিয়েছে, অল ইন্ডিয়ান সিনেমা ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরেশ শ্যামলাল গুপ্ত, মহারাষ্ট্রের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফরণবিশকে এই অগ্নিকাণ্ডের উচ্চ স্তরের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য একটি বিবৃতি জারি করেছেন।
পোস্টের মাধ্যমে আরও বলা হয়েছে, মিস্টার শ্যামলাল গুপ্ত ফিল্ম সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মুম্বইয়ের শ্রম কমিশনারকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন। নিরাপত্তা বিধি প্রয়োগে ব্যর্থতার জন্য তাদের জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়দিনে মিমির সঙ্গে ঘুরে আসুন ভূতের হোটেলে, নতুন ব্যবসা নাকি? আসল ঘটনা কী?
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কের জটিল রোগে আক্রান্ত সলমন, কী এই রোগ? কী সমস্যা হয়?
AICWA অভিযোগ অনুযায়ী, প্রযোজকরা বাধ্যতামূলক অগ্নি নিরাপত্তা প্রোটোকল মেনে চলছেন না। প্রযোজকদের অবহেলার ফলে হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রযোজক, প্রযোজনা সংস্থা, টেলিভিশন চ্যানেল, ফিল্ম সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং শ্রম কমিশনারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি এবং এফআইআর দায়েরের দাবি জানাচ্ছি আমরা।