এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পদ খারিজের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আওয়াজ তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার শহিদ মিনারের ছাত্র সমাবেশ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আর দুটি তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী–বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একই আইনি পথে হাঁটার কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে? এদিন শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন অভিষেক। আর বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, উনি একটি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। তাহলে একুশের নির্বাচনের আগে এসে যখন ‘দিদি, ও দিদি’ বলে বাংলার মা–বোনেদের অপমান করলেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না? বিজেপি করলে একরকম আইন। আর তৃণমূল কংগ্রেস করলে আর একরকম আইন! আমরা সুরাট আদালতে মামলা দায়ের করব একই আইন দেখিয়ে। আমাদের লিগ্যাল সেলকে আমি নির্দেশ দিচ্ছি।’
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে? কেন্দ্রে গিয়ে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারের ডাক দিয়েছেন অভিষেক। তার জন্য মানুষকে সংগঠিত করে দিল্লি অচল করার কথাও বলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘এই বীরবাহা হাঁসদা, সুকুমার হাঁসদাকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, এরা আমার জুতার তলায় থাকে। এটা আদিবাসী মানুষের ভাবাবেগে আঘাত নয়। তাহলে কেন জেলের বাইরে থাকবে বিরোধী দলনেতা? কেন তার পদ খারিজ হবে না? এটা নিয়েও মামলা দায়ের করা হবে।’
আর কী বলেছেন অভিষেক? এদিন তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইডি–সিবিআই এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তিনি সুর সপ্তমে চড়িয়ে বলেন, ‘প্রমাণ ছাড়া যদি আর কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীকে ধরে ইডি–সিবিআই, তাহলে এক ডাকে অভিষেকে ফোন করে জানাবেন। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের পাশে থাকব। আর তৃণমূল কর্মীদের বলি সততার সঙ্গে মানুষের কাজ করে যাবেন। বুক ঠুকে বলবেন আমি তৃণমূল কংগ্রেস করি। এই দল অভিযোগ উঠলেই ব্যবস্থা নেয়, বহিষ্কার করে। আর কেউ সেটা করে না। আমার বিরুদ্ধে একটা প্রমাণ দেখাতে পারবেন? টেট, এসএসসি, গরু, কয়লা কোনও অভিযোগ দেখাতে পারলে এই শহিদ মিনারের সামনে এসে মৃত্যুবরণ করে যাব।’