অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কালনার পুরপ্রধানকে প্রতারণার চেষ্টার ঘটনায় MLA হস্টেল থেকে ধৃতদের ঘর বুক করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়কের সুপারিশের ভিত্তিতে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই দাবি করল পুলিশ। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দের সুপারিশের ভিত্তিতে শেখ ইমরানের নামে ঘর বুক করা হয়েছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নিখিলবাবুর দাবি, বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করে নিজেদের তোলাবাজির কারবার চালিয়ে যেতে এটা তৃণমূলের একটা ঘৃণ্য চেষ্টা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে ফোন করছি বলে দাবি করে কালনার পুরপ্রধানের কাছে মোটা টাকা দাবি করেন কেউ বা কারা। টাকা নিয়ে পৌঁছতে বলা হয় কলকাতার কিড স্ট্রিটের MLA হস্টেলে। অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে জুনেইদ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। MLA হস্টেলে ঘর বুক করতে গেলে বিধায়কের সুপারিশপত্র লাগে। ধৃতকে জেরা করে ও MLA হস্টেলের রেজিস্টার খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, MLA হস্টেলে ঘরটি বুক করা হয়েছিল কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দের চিঠির ভিত্তিতে। শেখ ইমরান নামে এক যুবকের নামে ঘরটি বুক হয়েছিল। যদিও শেখ ইমরানের কোনও খোঁজ এখনও গোয়েন্দারা পাননি। এর পর MLA হস্টেলের সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। হস্টেলের রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। বাজেয়াপ্ত করেন আরও বেশ কিছু নথি।
ওদিকে নিখিলবাবুর দাবি, ইমরানের নামই শোনেননি তিনি। বিধায়ক বলেন, ‘যাকে আমি চিনি না, তাকে ঘর দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমার প্যাডে রেকমেন্ডেশন লেটার লাগবে। কে কোথা থেকে ঘর বুক করবে তার দায় তো আমার নয়। এখানে তৃণমূলের তোলাবাজদের হাত রয়েছে। তৃণমূলের চিন্তা হচ্ছে কী করে বিজেপির বিধায়কদের বদনাম করা যাবে। তাই আমাদের নাম ভাঙিয়ে MLA হস্টেলে ঘর বুক করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’