শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের যে অভিযোগ নিয়ে বছরখানেক আগে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল কলকাতার তিলজলায়, সেই মামলায় দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনাল আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত। ঘটনার ১ বছর ৬ মাসের মাথায় এল রায়।
আরও পড়ুন - পুজোর মধ্যেও আরজি কর নিয়ে পথে থাকবে বিজেপি, উপায় বাতলে দিলেন শুভেন্দু
পড়তে থাকুন - 'ট্রাম উঠে যাচ্ছে না'! কীভাবে? ফেসবুকে বোঝালেন দেবাংশু
২০২৩ সালের ২৬ মার্চ রবিবার ফ্ল্যাটের নীচে ময়লা ফেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় তিলজলার শ্রীধর রায় রোডের একটি আবাসনের বাসিন্দা ৭ বছরের শিশুকন্যাটি। স্থানীয়রা তল্লাশি শুরু করলে ওই আবাসনেরই অন্য একটি ফ্ল্যাটে সিলিন্ডারের পাশে বস্তায় শিশুটির হাত পা বাঁধা দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে পরিবার।
তদন্তে উঠে আসে, সন্তানপ্রাপ্তির আশায় শিশুকন্যাকে পৈশাচিক নির্যাতন করে খুন করে ওই আবাসনেরই এক তলার বাসিন্দা এক ব্যক্তি। শিশুকন্যার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় বলে জানায় পুলিশ। সারা দেহে ছিল সূঁচের ছিদ্র। শেষে শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন - কলেজে ভরতি হতে TMC নেতাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে হয় মেয়েদের, বিস্ফোরক দাবি
এই ঘটনায় অভিযুক্ত অলোক কুমারকে গ্রেফতার করে তিলজলা থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা চরমে পৌঁছয়। ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয় বিজেপি। ওদিকে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদেরও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে নিহত শিশুকন্যার প্রতিবেশী অলোক কুমার। তাঁকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত।