বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Teacher Recruitment Scam: তিন বছর বেতন পেলেন ‘জালি’ শিক্ষক, DI জানেন না? CID-কে তদন্ত করতে বলল হাইকোর্ট
পরবর্তী খবর
Teacher Recruitment Scam: তিন বছর বেতন পেলেন ‘জালি’ শিক্ষক, DI জানেন না? CID-কে তদন্ত করতে বলল হাইকোর্ট
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 19 Jan 2023, 02:01 PM ISTAyan Das
Teacher Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের সুতি-১ নম্বর ব্লকের গোঠা এ রহমান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। বেলডাঙার একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষকের অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে বাবার স্কুলে কর্মশিক্ষা শিক্ষক পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনিমেষের বিরুদ্ধে।
নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলকাতায় প্রতিবাদ। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
তিন বছর ধরে কীভাবে বেতন পেলেন 'জালি' শিক্ষক? তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, তিন বছর ধরে ওই 'জালি' শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন, অথচ সেটা জেলা স্কুল পরিদর্শক জানেন না? সেইসঙ্গে ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মুর্শিদাবাদের সুতি-১ নম্বর ব্লকের গোঠা এ রহমান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। বেলডাঙার একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষকের অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে বাবার স্কুলে কর্মশিক্ষা শিক্ষক পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনিমেষের বিরুদ্ধে।
সেভাবেই বহাল তবিয়তে ২০১৯ সাল থেকে বাবার স্কুলে অনিমেষ চাকরি করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্কুলে যাচ্ছিলেন। আর পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মতো দিব্যি বেতনও পাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মুর্শিদাবাদের জেলা স্কুল পরিদর্শক দাবি করেছিলেন যে অনিমেষকে নিয়োগপত্র প্রদানের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই।
জেলা স্কুল পরিদর্শকের সেই দাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রীতিমতো বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। যিনি বুধবার সিআইডির ডিআইজিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি বসু মন্তব্য করেন, জেলা স্কুল পরিদর্শক যে এই নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানেন না, তা জানতে পেরে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। অথচ তিন বছর ধরে বহাল তবিয়তে বেতন নিয়ে যাচ্ছেন ওই ‘জালি’ শিক্ষক। নিয়োগপত্র সংক্রান্ত কোনও তথ্য না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সেটা সম্ভব হয়েছে, তা নিয়ে বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু।
তারইমধ্যে বৃৃহস্পতিবার সেই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, ওই ঘটনার জেলা স্কুল পরিদর্শককে এফআইআর দায়ের করতে হবে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত করবে সিআইডি। সেজন্য বিশেষ দলও গঠন করা হয়। যে দলকে দু'সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে। সেইসঙ্গে বিচারপতি বসু জানান, ২০১৬ সালের পর থেকে যতজন শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সকলের তথ্য যাচাই করতে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের।
অনিমেষের বেতন বন্ধের নির্দেশ
ইতিমধ্যে ওই 'জালি' শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদের সুতি-১ নম্বর ব্লকের গোঠা এ রহমান হাইস্কুলেও যাতে ঢুকতে না পারেন, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।