সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে নানা সময়ে টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্ত সেন এই অভিযোগ করার পর এবার এর প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, হেফাজতে থাকা কোনও লোকের বিবৃতি আইনত বৈধ নয়। যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এদিন বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু জানান, ‘ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে ভাইপো (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়), তৃণমূলের এক মুখপাত্র ও পীযুষ পাণ্ডে নামে এক আইপিএস এই চিঠি লিখিয়েছেন। আমি চাই, আমার ২০২০ সালে ৯ ডিসেম্বরের চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্ত করুক। তাহলেই বেরিয়ে আসবে প্লটটা কে তৈরি করেছিলেন, কারা ষড়যন্ত্রকারী সবকিছুই।’ এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদের দু'জনকে নিশানা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, ‘কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না।’ সুপ্রিম কোর্টের ১০টি রুলিংয়ের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু সুদীপ্ত সেনের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘হেফাজতে থাকা কোনও লোকের বিবৃতি আইনত বৈধ নয়।’