আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করে দিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেই মামলা থেকে এবার রেহাই পেলেন বিনীত। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা খারিজ করেছে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয় গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে এই ঘটনার জন্য চিঠি লিখে দুঃখপ্রকাশ করেন আইপিএস অফিসার বিনীত গোয়েল। (আরও পড়ুন: জাতীয় গড়ের থেকে বাংলার সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত বেশি?)
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালি হয়রানি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য, এরই মাঝে হিলিতে ২ বাংলাদেশি ধরল BSF
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার শিকার কারও পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করা যায় না। তবে আরজি করের ঘটনার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ওই তরুণী চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করে দেন বিনীত গোয়েল। এই আবহে বিনীতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এই আবহে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে চিঠি লিখে বিনীত গোয়েল জানান, কোনওভাবেই ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ তিনি করেননি। তাই তিনি ক্ষমা চান। যদিও এই ক্ষমা প্রার্থনায় সন্তুষ্ট নন মামলাকারী আইনজীবী অনন্ত দেহদরাই। তাঁর কথায়, 'বিভিন্ন রায়ে উল্লেখ আছে যে নিগৃহীতার নাম প্রকাশ্যে এলে শাস্তি হবে। আমরা এই চিঠি গ্রহণ করছি না।' তবে আদালত পর্যবেক্ষণ করে, অভিযুক্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তাই খারিজ করা হচ্ছে মামলাকারীর আবেদন। (আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রী থাকাকালীন কি দ্বিতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য স্বামী?)
আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝে সত্যজিতের পূর্বপুরুষের বাড়ি নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত ইউনুস সরকারের
এদিকে সম্প্রতি অভিযোগ করা হয়, আরজি কর মামলায় তদন্তকারী অফিসার বিনীত গোয়েলের ব্যাচমেট। এই নিয়ে নির্যাতিতার আইনজীবী বলেছিলেন, 'বিনীত গোয়েল সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারের ব্যাচমেট বলেই কি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না?' তবে সিবিআই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কার্যত ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে বিনীত গোয়েলকে। এই আবহে নির্যাতিতার মা বলেছিলেন, এরকম তদন্ত কোনওদিন দেখিনি। কলকাতা পুলিশ যা তদন্ত করেছে সিবিআই-ও তাই, একই কাজ করেছে। ১১ মাস হয়ে গেল এখনও চার্জশিট দিতে পারেনি। মানে তদন্তই শুরু হয়নি এখনও।