করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি? উত্তরে মিলবে মাত্র ৩০ মিনিটে। বৃহস্পতিবার সেই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হল। সকালে চেতলার স্থানীয় বাসিন্দাদের সেই পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন : নয়া মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, ই-লার্নিং - এবার থেকে স্কুলে কী কী নয়া নিয়ম শুরু হচ্ছে?
কলকাতা পুরনিগমের তরফে চেতলা পার্কের কাছে অহীন্দ্র মঞ্চে অ্যান্টিজেন টেস্টের ক্যাম্প চালু করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। সেখানে প্রথম দফায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দু'জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে সূত্রের খবর।

পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, এভাবেই ১৬ টি বরোয় রোজই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। প্রাথমিকভাবে দৈনিক ১০০০ জনের পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিত ও ১৫জন পুলিশকর্মী
যদিও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ নিখুঁত ফল মেলে না। কারোর করোনা রিপোর্ট ‘ফলস নেগেটিভ’-ও আসতে পারে। দিল্লিতে যেমন সম্প্রতি ‘ফলস নেগেটিভ’ রিপোর্টের সংখ্যা বেড়েছে। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখেও পড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার।
আরও পড়ুন : ‘১ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি, কাজের সারাদিন নষ্ট হল’, সোমেন মিত্রকে শ্রদ্ধা না জানিয়ে বিধানসভা ছাড়লেন মমতা
দিল্লিতে সেরো সার্ভের রিপোর্ট প্রকাশের তরফে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলে সংশিষ্ট ব্যক্তি বা মহিলা নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও কেউ কেউ পজিটিভ হতে পারেন। তাহলে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় কেন?
আরও পড়ুন : কাকদ্বীপে খেত থেকে উদ্ধার অতিবিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ শাবক
বিশেষজ্ঞদের মতে, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা সবথেকে কার্যকর। কিন্তু সেই রিপোর্ট আসতে দু'তিনদিন লেগে যায়। তাই কম সময়ে কোনও নির্দিষ্ট এলাকার করোনার পরিস্থিতি বুঝতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যকরী হয়। ওই এলাকার করোনা চিত্রটাও বোঝা যায়। আর সেই উদ্দেশ্যেই কলকাতায় অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হয়েছে।