হস্তরেখাবিদ্যা থেকে একজন ব্যক্তির সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আমরা হাতের তালুতে অনেক ক্রস চিহ্ন দেখতে পাই যা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে গভীরভাবে বলে। এই ক্রস চিহ্নগুলি বিশেষ হয়ে ওঠে যখন এগুলি তালুর একটি নির্দিষ্ট পাহাড়ে বা একটি নির্দিষ্ট রেখার মধ্য দিয়ে দেখা যায়। ক্রস মানে যখন দুটি রেখা একে অপরকে অতিক্রম করে, এই চিহ্নটি জীবনের কোনও বিশেষ ঘটনার ইঙ্গিতও দিতে পারে। আসুন জেনে নিই কখন এই চিহ্ন একজন ব্যক্তির মৃত্যুর সূচক হয়ে ওঠে এবং অন্যান্য স্থানে ক্রস চিহ্ন একজন ব্যক্তির সম্পর্কে কী বলে।
শনি পর্বতে ক্রস থাকলে কী হবে: শনি পর্বতে ক্রস চিহ্ন থাকা গুরুতর বলে বিবেচিত হয়। এই ধরনের ব্যক্তি তার সৎকর্মের পূর্ণ সুফল পায় না। জীবন এবং কর্মজীবনে বাধা বিপত্তি লেগেই থাকে। ব্যক্তি তার জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে কাটায়। অনেক সময় সেই ব্যক্তিকে জেলে যেতে হয় এবং মানহানির মুখোমুখি হতে হয়। শনি পর্বতে ক্রস চিহ্ন অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ায়।
চন্দ্র পর্বতে ক্রস থাকলে কী হবে: যে ব্যক্তির হাতের তালুতে চন্দ্র পর্বতে ক্রস থাকে, সে আবেগপ্রবণ হয় এবং জীবনে বিভ্রান্তি ও প্রতারণার সম্মুখীন হয়। বিদেশ ভ্রমণের সময় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। জল সম্পর্কিত কোনও দুর্যোগের শিকার হতে পারেন। এই ধরনের মানুষ মানসিক ভারসাম্যহীনতায়ও ভোগেন।
মস্তিষ্কের রেখায় ক্রস থাকলে কী হয়: যাদের হাতের তালুতে মস্তিষ্কের রেখাতে ক্রস থাকে তারা মানসিক চাপে ভোগেন। এই ধরনের মানুষকে জীবনে প্রতিনিয়ত মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়। তীব্র বিষণ্ণতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা মস্তিষ্কের আঘাত বা মানসিক রোগের শিকার হতে পারেন। এই ধরনের লোকদের সবসময় ধীরে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
জীবনরেখায় ক্রস থাকলে কী হবে: যদি জীবনরেখায় গভীর ক্রস চিহ্ন থাকে তবে এটি একটি অত্যন্ত অশুভ চিহ্ন। একজন ব্যক্তি কোনও বড় রোগ বা দুর্ঘটনার শিকার হন। অপ্রত্যাশিত সংকট জীবনকে ঘিরে ফেলতে পারে। যখন জীবনরেখা কেটে যায়, তখন এই চিহ্নটি আরও খারাপ লক্ষণ হিসেবে গণ্য হয়।