কলকাতার বিধান সরণিতে ট্রাম লাইনের নীচে সুড়ঙ্গ থেকে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে বড়তলা থানার তরফে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সুপর্ণা শীল নামে আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার। প্রাথমিক তদন্তে দাবি, প্রতঃকৃত্য সারতে গিয়ে গর্তে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন - ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের, ফিরহাদের মন্তব্যের বিরোধিতা করলেন না মমতা
পড়তে থাকুন - নিজের বুথে পেয়েছেন ৪১টা ভোট, ও আবার নেতা না কি? হিন্দু ব্লক সভাপতিকে ছাড়াই সভা করলেন হুমায়ুঁ কবির
শনিবার বিকেলে কলকাতা বিধান সরণি ও কাশী বোস লেনের সংযোগস্থলে ঢালাই ট্রাম লাইনের নীচের সুড়ঙ্গ থেকে এক মহিলার পচন ধরা দেহ উদ্ধার হয়। মহিলার নিম্নাঙ্গে কোনও পোশাক ছিল না। তদন্তে নেমে বড়তলা থানার পুলিশ জানতে পারে নিহতের নাম সুপর্ণা শীল (৪৫)। শ্যামপুকুরের রাজা কালীকৃষ্ণ ২ নম্বর লেনের বাসিন্দা বাসিন্দা এই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ভাইপো ও বউদির সঙ্গে থাকতেন তিনি।
ইতিমধ্যে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। ওই মহিলাকে একটি জলের বোতল হাতে ওই গর্তের দিকে হাঁটতে দেখা দিয়েছে। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে বোতলটিও। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলা মাঝে মাঝেই বাড়ি ছেড়ে এদিকে ওদিকে চলে যেতেন। সম্ভবত ঘটনার দিন সকালে সম্ভবত প্রাতঃকৃত্য সারতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখন বিধান সরণির ওই এলাকায় কলকাতা পুরসভার জলের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল। সেই কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছিল গর্ত। সেই গর্তেই কোনও ভাবে পড়ে যান তিনি। তার পর অনেক চেষ্টাতেও আর বেরোতে পারেননি। খুব ভোরে ঘটনাটি ঘটায় এলাকায় লোকজনও ছিল কম। পরিবারের দাবি, যেহেতু ওই মহিলা মাঝে মাঝেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন তাই তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাননি তাঁরা।
আরও পড়ুন - মুসলিমরা শুধু বোমা বাঁধবে? আর নিজের বুথে হেরে দল চালাবেন হিন্দু নেতারা? দলীয় বৈঠকে প্রশ্ন TMC নেতার
ঘটনায় কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত ১০ জুলাই পর্যন্ত ওই জায়গায় পুরসভার কাজ হয়েছে। তার পর মাটি ভরাট করে দিয়ে চলে যান ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। প্রশ্ন উঠছে, কেন অরক্ষিত রইল পুরসভার কাজের জন্য খোড়া গর্ত। কেনই বা গর্তের ভিতরে একজন মরে পড়ে থাকলেও নজরে এল না পুর কর্মীদের?